শুক্রবার, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৫
শুক্রবার, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৫

শারদীয় দুর্গোৎসব: আজ মহাসপ্তমী পূজা

শারদীয় দুর্গোৎসব চলছে দেশজুড়ে। আজ বৃহস্পতিবার মহাসপ্তমী পূজা। এদিন সকালে দেবী দুর্গার চক্ষুদান, নবপত্রিকা প্রবেশ, স্থাপন, সপ্তাদি কল্পারম্ভ ও সপ্তমীবিহিত পূজা হবে।

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সনাতনী শাস্ত্র অনুযায়ী, মহাসপ্তমীতে ষোড়শ উপাচারে দেবী দুর্গাকে পূজিত করা হবে। এ ছাড়া চক্ষুদানের পর ভক্তরা আসন, বস্ত্র, নৈবেদ্য, স্নানীয়, পুষ্পমাল্য, চন্দন, ধূপ ও দীপ দিয়ে দেবীকে পূজা করবেন। সকাল ৭টা ৫৩ মিনিট ২৭ সেকেন্ডের মধ্যে দেবীর মহাসপ্তমী পূজা শেষ করতে হবে।

আগামীকাল শুক্রবার সকাল ৬টা ৫২ মিনিটের মধ্যে মহাষ্টমী পূজা এবং ৬টা ৫২ মিনিটে আরম্ভ, এর পরই কুমারীপূজা। সবশেষ আগামী রোববার প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দুর্গোৎসবের সমাপ্তি ঘটবে।

সারা দেশে ৩১ হাজার ৪৬১ মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপিত হচ্ছে। এর মধ্যে ঢাকায় ২৫২টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরের পুরোহিত প্রণব চক্রবর্তী বলেন, সংকল্প ও আরম্ভ—এই দুই মিলিয়ে হয় ‘কল্পারম্ভ’। এর মাধ্যমে দেবীর কাছে প্রতিজ্ঞা করা হয়। সব নিয়ম মেনেই তাঁর পূজার্চনা করা হবে। এ সময় সারা বিশ্বে ‘অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটিয়ে শুভ শক্তি ও শান্তি প্রতিষ্ঠায়’ দুর্গার চরণে গন্ধ, পুষ্প, অর্ঘ্য ও বাদ্য দিয়ে প্রার্থনা করা হয়। তিনি বলেন, স্বামীর ঘর স্বর্গ ছেড়ে মর্ত্যে তাঁর পিতৃগৃহে পদার্পণ করলেন দেবী। এ সফরে তার সঙ্গে আছেন চার সন্তান—গণেশ, কার্তিক, লক্ষ্মী ও সরস্বতী এবং কার্তিকের কলা বউ।

তিনি বলেন, তষষ্ঠীতে এই সময়টায় দেবী বেলগাছের তলায় ঘুমিয়ে থাকেন। বোধনের মধ্য দিয়ে দেবীর ঘুম ভাঙানো হয়।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ঢাকেশ্বরী মন্দিরে পূজার আয়োজনের ব্যস্ততা দেখা যায়। দেবীর আরাধনায় ভক্তরা ভিড় করেন সেখানে। পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে দুর্গাপূজা ঘিরে এরই মধ্যে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি মণ্ডপে পুলিশ ও আনসার-ভিডিপির পাশাপাশি কোথাও কোথাও র‌্যাব-বিজিবি ও সেনা সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

Similar Articles

Advertismentspot_img

Most Popular