নিউজ ডেস্ক:
দইয়ের পুষ্টিগুণ ও বহুমুখী উপকারিতা রয়েছে। প্রতিদিন খাবারের তালিকায় দই রাখতে পারেন। কেননা এতে প্রচুর প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন-ডি, উপকারী ব্যাকটেরিয়া বিদ্যমান। যারা সহজে দুধ হজম করতে পারেন না, তাদের জন্য দই বেশ উপকারী। কারণ এটি সহজেই হজম হয় এবং দুধের মতো এতে পুষ্টিমান বজায় থাকে। দই মানব দেহের জন্য কতটা উপকারী চলুন জেনে নেই-
দইয়ে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস বেশি থাকায়, এটি হাড় ও দাঁত মজবুত করে।
দাঁতের ক্ষয় রোগ, আথ্রাইটিস, অস্টিওপোরোসিস রোগ দমনে প্রতিদিন দই খেতে পারেন।
দই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
হৃদযন্ত্রের জন্য দই খুব উপকারী। এটি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে কোলেস্টেরল কমায়।
হজমের জন্য দই খাওয়া যেতে পারে। স্পাইসি খাবার খেয়ে অন্তত এক কাপ দই খাওয়া উচিত।
পেপটিক আলসার রোধ করতেও দইয়ের ভূমিকা রয়েছে।
দইয়ে জিংক, ভিটামিন-ই ও ফসফরাস থাকায় ঘরে এটি রূপচর্চার উপকরণ হিসেবেও ব্যবহার করা যায়।
দইয়ে ল্যাকটিক এসিড থাকায় চুলের খুসকি সহজে দূর করে। মাথার তালুতে মেখে এক ঘণ্টা পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললে সহজেই দূর হবে খুসকি।
দইয়ে থাকা ক্যালসিয়াম শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
দই মানসিক চাপ ও মস্তিষ্কের উত্তেজনা কমায়।
সুতরাং প্রতিদিন ২৫০-৫০০ গ্রাম দই খাওয়া ভালো। এর চেয় বেশি দই খেলে শরীরে ক্যালসিয়ামের মাত্রা বেড়ে শারীরিক জটিলতা তৈরি হতে পারে। অবশ্য দই কেনার আগে তা কতোটা খাঁটি, সেটাও জেনে নেওয়া উচিত।