নিউজ ডেস্ক: আপনার শরীরের সংবহন প্রক্রিয়ার কথা চিন্তা করে দেখেছেন কখনো? আপনার শরীর যা কিনা বহন করছে রক্ত, অক্সিজেন এবং নিউট্রিশন।
যখন ধমনী থেকে রক্ত প্রবাহের সময় কোনো বন্ধকতার সম্মুখীন হয় তখন তা শিরাগুলোতে পৌঁছাতে দেরি করে। এতে করে শরীরে অসাড়তা বা ম্যাজম্যাজে একটা ভাব তৈরি হয়।
তবে এমন অনেক খাবার আছে যেগুলো খেলে শরীরের সংবহন প্রক্রিয়া উন্নত করা সম্ভব। এই খাবারগুলো কাজের উদ্যম বাড়াতেও সাহায্য করে। আসুন জেনে নেওয়া যাক এই খাবারগুলো সম্পর্কে। দুই পর্বের প্রতিবেদনের আজ প্রথম পর্বে থাকছে পাঁচটি খাবার সম্পর্কে।
ডার্ক চকলেট
আপনি কি ডার্ক চকলেট খেতে অস্বস্তি বোধ করেন। করবেন না, কারণ ডাক্তার স্টিভেন আপনাকে আপনার খাদ্য তালিকায় ডার্ক চকলেট রাখার অনুমতি দিচ্ছেন। ডাক্তার স্টিভেন বলেন, ডার্ক চকলেটের প্রায় ৭২ শতাংশই কোকোয়া থাকে। আর কোকোয়া এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে শরীরে কাজ করে, যা রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে। তাই আপনি অনায়াসে আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ডার্ক চকলেট রাখতে পারেন।
হলুদ
হলুদকে ভারতের মসলার সোনা বলে আখ্যায়িত করা হয়। গবেষণার মাধ্যমে প্রমাণিত যে, হলুদ ধমনীর রক্ত চলাচলের বাধা দূর করতে এবং শারীরিক সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে। ডাক্তার স্টিভেন বলেন, হলুদ এক ধরনের চতুর ওষুধ। এর নিজের একান্ত তেমন কোনো গুণ প্রকাশ পায় না যতক্ষণে না এটি বায়োপেরিনের (কালো গোল মরিচের একটি উপাদান) মেশানো হয়। ডাক্তার স্টিভেন সপ্তাহে একবার হলেও হলুদ এবং কালো গোল মরিচের গুঁড়া মিশ্রিত পানি পান করার উপদেশ দেন।
বিটের জুস
বিটকে অনেক বিট কপি বা বিট পালং নামে চেনেন। অনেকেই জানেন, এই বিট খেলোয়ারদের জন্য খুবই ভালো কারণ এতে প্রচুর পরিমাণ নাইট্রেট রয়েছে যা রক্তের প্রবাহ বাড়ায় এবং পেশিতে দ্রুত অক্সিজেন প্রবেশে সাহায্য করে। ডাক্তার স্টিভেন বলেন, গবেষণাতে দেখা যায় যে, যারা নিয়মিত এক অথবা দুই কাপ বিটের জুস খান তাদের রক্তচাপ বেশ কম থাকে বিশেষ করে যাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে। এছাড়া যারা হাঁটার সময় পায়ে ব্যথা অনুভব করেন তাদের জন্য এটি খুবই ভালো। কারণ এই জুস পায়ের পেরিফেরাল আরটারি ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করে।
স্যামন মাছ
যেসব মাছ (যেমন: স্যামন, ট্রাউট, হেরিং, সার্ডিন, টুনা অথবা ম্যাকরল) ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে পরিপূর্ণ সেসব মাছ খাওয়া ভালো। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন একটি গবেষণাতে দেখানো হয়, শরীরের দুর্বল সংবহন প্রক্রিয়ায় ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের অভাব থাকে। আর এই ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিডটি শুধুমাত্র মাছ থেকে পাওয়া সম্ভব।
লাল মরিচ
গবেষণা থেকে বলা হয় যারা ঝাল খাবার বেশি খান তাদের শারীরিক সঞ্চালন বেশি হয়ে থাকে। নিউট্রিশনিস্ট জোলেন বলেন, লাল মরিচ ধমনীকে শক্তি প্রদান করে, যার ফলে ধমনী থেকে অতি দ্রুত রক্ত সমস্ত শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। এতে করে রক্ত অধিক প্রবাহে ছড়িয়ে পড়তে থাকে যার ফলে শরীরের সঞ্চালনও বৃদ্ধি পেতে থাকে। ডাক্তার জোলেন বলেন, যদিও আমরা লাল মরিচ নিয়মিত খাই না। এটি শুধু বিশেষ খাবার যেমন মাংসে ব্যবহার করা হয়। তবে আজ থেকে আপনি আপনার বিভিন্ন খাবারের সঙ্গে এটি মিশিয়ে খেতে পারেন। যেমন ফলের জুসের সঙ্গে এক চিমটি লাল মরিচ গুঁড়া মিশিয়ে দিতে পারেন।