নিউজ ডেস্ক:
বয়স ও উচ্চতার সঙ্গে ওজনের একটা নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। ওজন বেশি হলে যেমন শঙ্কা রয়েছে তেমনি ওজন খুব কম হলেও তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
আর এ অবস্থা দীর্ঘদিন চলতে থাকলে ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পেতে থাকে। বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। তাই খুব দ্রুত ওজন স্বাভাবিক করাটা জরুরি। এখন প্রশ্ন হচ্ছে ওজন বাড়াতে কী খাবেন।
১. ক্যালরিযুক্ত খাবার:
দেহের ওজন বাড়ানোর জন্য যেসব খাবারে বেশি ক্যালরি রয়েছে, সেসব খাবার খাওয়ায় মনোযোগী হতে হবে। এক্ষেত্রে মাছ, মাংস, বাদাম, চকলেট, বিভিন্ন বীজ, শুকনো ফল, পনির ও দুগ্ধজাত সামগ্রী ইত্যাদিতে গুরুত্ব দিন।
২. পুষ্টিকর খাবার:
যেসব খাবারে প্রচুর পুষ্টি রয়েছে সেগুলো বেশি করে খান। এক্ষেত্রে শুধু প্রোটিনই নয় অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদানযুক্ত খাবার খেতে হবে। এক্ষেত্রে দেহ যেন পর্যাপ্ত উন্নতমানের কার্বহাইড্রেট পায় সেজন্যও মনোযোগ দিতে হবে। এজন্য খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন বাদামি আটার রুটি, কলা, ঘি, নারিকেল তেলের খাবার, মুরগির মাংস, ডিম ও ডাল।
৩. সঠিক নাশতা:
আপনার নাশতাগুলো যেন সঠিকভাবে কাজে লাগে সেজন্য মনোযোগী হোন। অস্বাস্থ্যকর নাশতা বাদ দিয়ে পুষ্টিগুণসম্পন্ন নাশতা খাওয়াতে গুরুত্ব দিন। এক্ষেত্রে কার্বহাইড্রেটযুক্ত নাশতা হতে পারে একটি ভালো উপায়। এছাড়া নাশতায় রাখতে পারেন প্রোটিনযুক্ত খাবার ও চীনাবাদাম।
৪. ছোট ছোট খাবার:
আপনার দেহের ওজন যদি কম হয় তাহলে হয়ত আপনি একবারে বেশি খাবার খেতে পারেন না। আর এ কারণে শুধু প্রতি বেলার খাবার খেলেই হবে না, খাবারের মাঝখানে নাশতাও খেতে হবে বেশি করে।
৫. শারীরিক অনুশীলন:
আলসেমি করে বসে থাকলে আপনার শারীরিক কার্যক্ষমতা কমে যাবে। আর এতে কমে যেতে পারে খাওয়ার রুচিও। তাই শারীরিক অনুশীলন করুন। তবে সব ধরনের শারীরিক অনুশীলন কাজে নাও আসতে পারে। এক্ষেত্রে ওজন বাড়ানোর জন্য অ্যারোবিক এক্সারসাইজ নয়, বরং ভারি ওজন তোলা কিংবা ইয়োগার মতো অনুশীলন সবচেয়ে ভালো।
৬. বেশি প্রোটিন:
দেহের ওজন বাড়ানোর জন্য প্রোটিনের গুরুত্ব অপরিসীম। এক্ষেত্রে প্রাণীজ ও উদ্ভিজ্জ প্রোটিন উভয়ই খেতে হবে। মাছ, মাংসে রয়েছে প্রাণীজ প্রোটিন। পাশাপাশি সয়াবিন, বাদাম, ডাল ইত্যাদিও গুরুত্বপূর্ণ।