চুয়াডাঙ্গা রেলবাজারে দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত প্রবীণ আইনজীবী ও রাজনীতিক
সাত আসামিকে আদালতে প্রেরণ করা হবে আজ :
নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গা জেলা জজ আদালতের সহকারী কৌঁসুলি (এপিপি), জেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক এবং জেলা আইনজীবী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. শফিকুল ইসলাম শফির শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। পেট ব্যতীত ঘাড় ও পিঠের আঘাত তেমন গুরুতর নয়। পেটে ধারালো অস্ত্রের কোপ ও দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে বড় ধরণের ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে। তবে তাঁকে হামলার পরপরই চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে টানা দুই ঘণ্টার অপারেশন অনেকটাই সফল হয়। যে কারণে রক্তপাত বন্ধসহ জরুরি প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাঁকে নিরাপদে ঢাকায় নেওয়া সম্ভব হয়েছে। গতকাল রোববার সকালে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর এমন তথ্য জানান স্বজনেরা। চুয়াডাঙ্গা জেলা জজ আদালতের সহকারী কৌঁসুলি (এপিপি), জেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক এবং জেলা আইনজীবী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. শফিকুল ইসলাম শফির শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। পেট ব্যতীত ঘাড় ও পিঠের আঘাত তেমন গুরুতর নয়। পেটে ধারালো অস্ত্রের কোপ ও দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে বড় ধরণের ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে। তবে তাঁকে হামলার পরপরই চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে টানা দুই ঘণ্টার অপারেশন অনেকটাই সফল হয়। যে কারণে রক্তপাত বন্ধসহ জরুরি প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাঁকে নিরাপদে ঢাকায় নেওয়া সম্ভব হয়েছে। গতকাল রোববার সকালে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর এমন তথ্য জানান স্বজনেরা। এদিকে অ্যাড. শফিকুল ইসলাম শফির ওপর হামলার ঘটনায় গতকাল রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় তাঁর স্ত্রী শাহিদা খানম বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৫-৬ জনকে আসামি করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেছেন। দ-বিধি ১৪৩, ১১৪, ৩২৩, ৩২৪, ৩২৬, ৩০৭ ও ৫০৬ ধারায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়, মামলা নং ৪৬, ২২/০৯/২০১৯ইং। এ মামলায় এজাহার নামীয় তিনজন আসামি সর্দারপাড়ার শহিদ হোসেন লাড্ডুর ছেলে শারাফাত (২০), বেলগাছির ইলিয়াছ হোসেনের ছেলে মুনতাজ (২৭) ও দৌলতদিয়াড়ের হাশেম আলীর ছেলে রেদওয়ান ওরফে রানাসহ (২১) সন্দিগ্ধ চারজনকে আসামি করে আজ সোমবার আদালতে প্রেরণ করা হবে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এক জরুরি সভা থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে চুয়াডাঙ্গা নাগরিক সমাজ। গতকাল রোববার বিকেল চারটায় চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাসের বাসভবনের কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আব্দুল মালেক, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক জোয়ার্দ্দার, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান কবির, সদর থানা কৃষক লীগের সভাপতি আব্দুল মতিন দুদু, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সেখ সামসুল আবেদিন খোকন, চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার, যুগ্ম আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান, জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক ও পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু, যুগ্ম আহ্বায়ক মতিউর রহমান মতি, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জানিফ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকির হুসাইন জ্যাকিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে বিশিষ্ট আইনজীবী এপিপি অ্যাড. শফিকুল ইসলাম শফিকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা ও মারাত্মক আহত করার প্রতিবাদে আজ সোমবার বেলা পৌনে তিনটায় চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে সমবেত হবে চুয়াডাঙ্গার সর্বস্তরের নাগরিক সমাজ। এরপর চুয়াডাঙ্গা নাগরিক সমাজের ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হবে। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ হাসান চত্বরের মুক্তমঞ্চে এক প্রতিবাদ সভায় মিলিত হবে।