বেশ কিছু সুবিধা ব্যবহার করে চাইলেই ল্যাপটপের ব্যাটারির চার্জ দীর্ঘ সময় ধরে রাখা যায়। জেনে নিন নিম্নে-
১. ইফিসিয়েন্সি মোড
ল্যাপটপে সাধারণত তিনটি পাওয়ার মোড থাকে—‘বেস্ট পারফরম্যান্স’, ‘ব্যালান্সড’ এবং ‘বেস্ট পাওয়ার ইফিসিয়েন্সি’। বেশির ভাগ সময় ল্যাপটপ চালুর পর ব্যাটারি ‘ব্যালান্সড’ মোডে চলে যায়। কিন্তু ‘বেস্ট পাওয়ার ইফিসিয়েন্সি’ মোড নির্বাচন করলে ল্যাপটপ ব্যাটারির চার্জ কম খরচ করে এবং ব্যাটারির দীর্ঘস্থায়িত্ব বাড়ায়। এ মোড ব্যবহার করে সাধারণ কাজ যেমন ইন্টারনেট ব্যবহার বা লেখালেখি করতে কোনো সমস্যা হয় না। তবে গেম খেলার সময় গতি কিছুটা কমে যেতে পারে।
২. এনার্জি সেভার
ল্যাপটপের ব্যাটারির আকার কম হলে দ্রুত চার্জ শেষ হয়ে যায়। উইন্ডোজ ১১-এ এনার্জি সেভার মোড চালু করলে ব্যাটারির চার্জের পরিমাণ নির্দিষ্ট চার্জ লেভেলে পৌঁছালে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্যাটারির চার্জ কম খরচ করা শুরু করে। সাধারণত চার্জ ৩০ শতাংশে পৌঁছানোর পর ল্যাপটপে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এনার্জি সেভিং মোড চালু হয়। এ মোডে ল্যাপটপের কিছু ফিচার কম চার্জ খরচ করে। ফলে ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী হবে।
৩. অটোমেটিক স্ক্রিন অফ এবং হাইবারনেশন
ল্যাপটপে কোনো কাজ না করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্ক্রিন বন্ধ বা হাইবারনেশনে চালু করা যেতে পারে। ল্যাপটপের সেটিংসে গিয়ে নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করলে সেই সময় পর ল্যাপটপে কোনো কাজ না করলে স্ক্রিন স্বয়ংক্রিয়ভাবেই বন্ধ হয়ে যাবে বা হাইবারনেশনে চলে যাবে। এতে ব্যাটারি কম খরচ হবে এবং চার্জ দীর্ঘস্থায়ী হবে।
৪. অটো ব্রাইটনেস
অনেক ল্যাপটপে ‘অটো ব্রাইটনেস’ সুবিধা রয়েছে। এ সুবিধার ফলে আশপাশের আলো অনুযায়ী পর্দার উজ্জ্বলতা স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়। অটো ব্রাইটনেস চালু থাকলে স্ক্রিনের উজ্জ্বলতা প্রয়োজন অনুযায়ী কমে যাওয়ায় ব্যাটারি কম খরচ হয়।
৫. স্লিপ মোড
ল্যাপটপের ওপরের অংশ বা ‘লিড’ বন্ধ করলে ল্যাপটপ স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্লিপ মোড চালু করা যেতে পারে। এ সুবিধা চালু থাকলে লিড বন্ধ করলেই ল্যাপটপ সঙ্গে সঙ্গে স্লিপ মোডে চলে যাবে। ফলে ব্যাটারি কম খরচ হবে। আবার লিড খুললে ল্যাপটপ স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হয়ে যাবে।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস