বুধবার, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৫
বুধবার, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৫

লেবুতলার অভিযান সমাপ্ত, নিহত দুই জঙ্গির পরিচয় মিলেছে !

নিউজ ডেস্ক:

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কুমড়োবাড়ীয়া ইউনিয়নের লেবুতলা গ্রামে জঙ্গি আস্তারায় মৃত শরাফত মন্ডরের বাড়িতে দ্বিতীয় দিনের মত চলা অভিযান ‘সাবটেইল স্পিলিট’ সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

আজ সোমবার সকাল ১০টা ২০ মিনিটে শুরু হওয়া এ অভিযান শেষ করা হয় বেলা ১২টায়। অভিযানে খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি দিদার আহমেদের নেতৃত্বে অ্যাডিশনাল ডিআইজি হাবিবুর রহমান, ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান অভিযানে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট, বোম ডিসপোজাল ইউনিট ও জেলা পুলিশ অংশ নেয়।

খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি দিদার আহমেদ প্রেস বিফ্রিংয়ের মাধ্যমকে জানান, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার লেবুতলা গ্রামের জঙ্গি শামীমকে গত ৫ এপ্রিল গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পুলিশ মহেশপুর উপজেলার বজরাপুর হঠাৎ পাড়ায় জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পান। শনিবার রাত থেকে ওই বাড়ির চারপাশে পুলিশ ও গোয়েন্দা বাহিনীর লোকজন এলাকাটি ঘিরে রাখে। পরে ১৪৪ ধারা জারি বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে একজন আত্মঘাতী ও পুলিশের সাথে গোলাগুলিতে মারা যান।

তারা হলেন- আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে নিহত সদর উপজেলার পোড়াহাটি গ্রামের ঠনঠনিয়া পাড়ার জঙ্গি আস্তানার মালিক চৈতন্য বাউতি পুত্র নব্য মুসলিম আব্দুল্লাহ ও একই উপজেলার ধানহাড়িয়া-চুয়াডাঙ্গা গ্রামের আত্তাব উদ্দিনের পুত্র তুহিন।

একই দিন পুলিশ শামীমের দেওয়া তথ্য মতে তার বাড়ি থেকে ৭টি গ্রেনেড,২টি দেশি পিস্তল, ২ রাউন্ড গুলি, ১টি বোমা ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করে পুলিশ। তারা নব্য জেএমবির সদস্য বলেও জানান। এই এলাকার ঢাকা হলি আর্টিজানে নিহত জঙ্গি নিবরাস ও তামিমের সাথে উঠবসা ছিল শামীমের।

ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, সোমবার মহেশপুরের বজরাপুর জঙ্গি আস্তনায় নিহত দুই জঙ্গির পরিচয় মিলেছে। তাদের বিরুদ্ধে মহেশপুর থানায় বাড়ির মালিক জহিরুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে তার ছেলে জসিমকে ২নং আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে (মামলা নং-৭,তাং-০৮-০৫-২০১৭ইং)। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার লেবুতলা গ্রামের গ্রেফতার শামীমের মা সুফিয়া বেগমকে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে তার ভাই হাসান গত দুদিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে। পুলিশ এই বিষয়ে কিছুই জানে না বলে জানিয়েছে।

Similar Articles

Advertismentspot_img

Most Popular