লেবাননে ওয়াকি-টকি বিস্ফোরণে অন্তত ১৪ জন নিহত এবং ৪৫০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) লেবাননে হিজবুল্লাহর যোদ্ধাদের কাছে থাকা পেজার বিস্ফোরণ ঘটে।
এতে অন্তত ১২ জন নিহত এবং আহত হন প্রায় ৩ হাজার জন।
ওই ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ওয়াকি-টকি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলো।
লেবানিজ রেডক্রসকে উদ্ধৃত করে বিবিসি বলছে, লেবাননের একাধিক স্থানে ওয়াকি-টকি বিস্ফোরণ হয়েছে। এসব ঘটনায় অন্তত ৩০টি অ্যাম্বুলেন্স মোতায়েন করা হয়েছে।
এ ঘটনার পর জাতিসংঘ নিরাপত্তা কাউন্সিলের অধিবেশন ডাকা হয়েছে।
বিবিসি বলছে, দ্বিতীয় দফা বিস্ফোরণের পর হিজবুল্লাহর শক্ত অবস্থান থাকা দাহিয়া এবং বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে ওই এলাকাগুলোর বাসিন্দাদের মোবাইল ফোনসহ যোগাযোগের যন্ত্র থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে।
এর আগে লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, লেবাননে কয়েক হাজার পেজারে বিস্ফোরণের অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১২ জন নিহত ও প্রায় ৩ হাজার জন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মঙ্গলবার বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটের দিকে বিস্ফোরণ শুরু হয়ে পরবর্তী প্রায় ১ ঘণ্টা সময় ধরে দেশটির বিভিন্ন এলাকায় ডিভাইসগুলো বিস্ফোরিত হতে থাকে।
আল জাজিরা জানিয়েছে, আহতদের মধ্যে হিজবুল্লাহর সদস্য, মেডিকেল কর্মী এবং ইরানের রাষ্ট্রদূত রয়েছেন। এই বিস্ফোরণ হয়েছে লেবাবননজুড়ে, বিশেষত দক্ষিণ লেবাননের হিজবুল্লাহ ঘাঁটিগুলোতে।
নিহতদের মধ্যে আট বছর বয়সী একটি মেয়েও রয়েছে। হিজবুল্লাহ এমপি আলী আম্মারের ছেলে মোহাম্মদ মাহদি আম্মারও নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। লেবাননে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত মোজতবা আমানিও বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন।
এই বিস্ফোরণের জন্য সম্পূর্ণরূপে ইসরায়েলি শত্রুদের দায়ী করেছে হিজবুল্লাহ।
হিজবুল্লাহ এক বিবৃতিতে বলেছে, বিস্ফোরণে আমাদের আট যোদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। অবশ্যই এর জন্য শাস্তি দেওয়া হবে ইসরায়েলকে।