একাডেমিক কার্যক্রম চলমান রয়েছে অথচ লিফট বন্ধ। সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠছে ও নামছে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা কর্মচারী।
দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এম ওয়াজেদ মিয়া একাডেমিক ভবনে।
বুধবার সকাল ৯ টায় এই ঘটনা ঘটে।
অচল, যান্ত্রিক ত্রুটি সহ নানা কারণে দিনের পর দিন বন্ধ থাকতে দেখা যায়।এতে বিপাকে বেশি পড়েন অসুস্থ এবং মাতৃত্বকালীন শিক্ষার্থীরা।
পঞ্চম তলা বিশিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া ভবনে ৫টি অনুষদের প্রায় ৭ হাজার শিক্ষক-শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছে মাত্র দু’টি লিফট। যার মধ্যে একটি প্রায় সময় আবার কোনো কোনো সময় দুটি লিফটই বন্ধ থাকছে। লিফট দুটি বিকল হওয়াতে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম তলার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, দ্রুত লিফট মেরামত করে সচল করা দরকার।
রসায়ন ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী সাদমান ওয়াজেদ বলেন, “মাঝেমধ্যেই দেখি লিফট বন্ধ থাকে। যাদের সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে হয় তাদের জন্য তো এটা কঠিন হয়ে পড়ে। প্রশাসনের এ দিকে নজর দেওয়া দরকার।”
কয়েকজন শিক্ষকের সাথে কথা বললে তারা বলেন , “সিনিয়র শিক্ষক কিংবা অসুস্থ শিক্ষার্থীদের জন্য লিফট খুবই প্রয়োজন। মাঝেমধ্যেই এরকম বন্ধ থাকে লিফট। দ্রুত সচল করার আহ্বান। ”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশলী শাখার নিয়ন্ত্রয়ক মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, “দুইমাস ধরে লিফট সার্ভিসিং এর ফাইল প্রস্তুত রয়েছে। তবে সে ফাইল কোথায় রয়েছে তা জানিনা।”
মুঠোফোনে তার সাথে যোগাযোগের পর লিফট পরিদর্শনের জন্য লোক পাঠানোর কথাও বলেন তিনি।
উল্লেখ্য, এদিকে কুদরত-ই-খুদা একাডেমিক ভবনে নিয়মিত লিফট সমস্যায় বিপাকে পরেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী।