লামা প্রতিনিধি: বান্দরবানের লামা উপজেলায় নিজেই নিজের হাত কেটে চাচার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছে ভাতিজা। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার আজিজনগর ইউনিয়নের পূর্বচাম্বী আমতলী পাড়ায়। জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ভাতিজা মো. সাইফুল ইসলাম থানায় এ মিথ্যা অভিযোগ করেছেন বলে দাবী চাচা আবদুল মান্নানের। মিথ্যা অভিযোগ থেকে রেহাই পেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন চাচা আবদুল মান্নানসহ দুই নারী শ্রমিক। শুক্রবার সকালে ভুক্তভোগী আবদুল মান্নান লামা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন।
অভিযোগে জানা যায়, পূর্ব চাম্বী আমতলী পাড়ার মৃত রওশন আলীর ছেলে আবদুল মান্নানের (৫৫) নামে চাম্বি মৌজায় আর ৪০৯নং হোল্ডিং মূলে আড়াই একর জমি রয়েছে।
আবদুল মান্নান এ জমিতে বহু অর্থ ও কায়িক শ্রম ব্যয় করে বিভিন্ন ফলজ ও বনজ বাগান সৃজন করে ভোগ করে আসছেন। সম্প্রেিত ওই জমির ওপর তার ভাই আবদুল আজিজের লোলুপ দৃষ্টি পড়ে। তিনি ওই জমি তার শ্বাশুড়ীর দাবি করে দখলে নেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে অপচেষ্টা চালিয়ে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় আবদুল আজিজের স্ত্রী হালেহা বেগম বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করেন। গত ২৩ জুলাই দীর্ঘ শুনানির পর মামলাটির রায় দেন বিজ্ঞ আদালত।
এতে আবদুল আজিজসহ তার পরিবারের অন্য সদস্যরা ক্ষিপ্ত হন। এক পর্যায়ে গত ২৪ জুলাই আবদুল মান্নান শ্রমিক নিয়ে বিরোধীয় জমিতে কাজ করতে গেলে আবদুল আজিজের ছেলে সাইফুল ইসলামের সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয়। পরোক্ষণে আবদুল মান্নানকে মামলা দিয়ে ফাঁসানোর জন্য নিজের হাত নিজেই কেটে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন এবং আবদুল মান্নান ও শ্রমিকসহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন ভাতিজা সাইফুল ইসলাম।
আবদুল মান্নানের শ্রমিক হালেমা বেগম (৩২) মুঠোফোনে জানান, আবদুল মান্নান ও আব্দুল আজিজ উভয়ে আমার মামা হন। বাগানে কাজ করতে গেলে আবদুল মান্নান ও সাইফুল ইসলামের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। মারামারির মত কোন ঘটনাই ঘটেনি। এমনকি ঘটনার সময় কারো হাতে দা ছিল না। অথচ সাইফুল ইসলাম থানায় মিথ্যা অভিযোগ করে হয়রানি করছে। এদিকে সাইফুল ইসলামের বাবা আবদুল আজিজ বলেন, সাইফুল ইসলাম বাগানে জঙ্গল পরিস্কার করার কাজে বাঁধা দিলে আবদুল মান্নান তাকে দা দিয়ে কুুপিয়ে আহত করেন। এ বিষয়ে লামা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, এখনো ঘটনার তদন্ত চলছে।