লামা প্রতিনিধি: লামায় ৮১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা উত্তোলনে হয়রানি ও শিওরক্যাশ এজেন্টদের কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগ ওঠেছে। বর্তমান সরকার শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করার লক্ষ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থীদেরকে শিওরক্যাশের মাধ্যমে উপবৃত্তির টাকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করেছে। শিক্ষার্থীদের সঠিক সংখ্যা নির্ধারণের পাশাপাশি উপবৃত্তি প্রদানে অনিয়ম ও দুর্নীতি রোধ কল্পে এই পদ্ধতি অবলম্ভব করে সরকার।
উপজেলায় ৮৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৮১টি বিদ্যালয়ের প্রায় ১৪ হাজার ৪০০ জন শিক্ষার্থী উপবৃত্তির আওতায় রয়েছে। রূপালী ব্যাংকের অধীনে শিওরক্যাশের এজেন্টদের মাধ্যমে উপবৃত্তির টাকা মোবাইলে প্রদান করা হচ্ছে। আর এই টাকা স্কুলের আশেপাশের বাজারে শিওরক্যাশের এজেন্ট থাকা দোকানের মাধ্যমে উত্তোলন করা হয়। এই সুযোগে শিওরক্যাশের এজেন্ট থাকা দোকানের মালিকগন শিক্ষার্থীদের টাকা উত্তোলনের সময় ৬শত টাকায় ৩০ টাকা কমিশন বাণিজ্য করছে। যা অনিয়ন দুর্নীতি বলে অভিযোগ করছেন উপবৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও স্থানীয় শিক্ষক মহল।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলা সদর লামা বাজারের ২টি শিওর ক্যাশের এজেন্টে প্রতিযোগিতামূলক ভাবে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা উত্তোলনে কমিশন বাণিজ্যের মহোৎসব চলছে। লামা বাজারের স্টার শপিং কমপ্লেক্সের নিহান টেলিকম ও পৌর মার্কেটের ভিআইপি টেলিকম সেন্টারে শিক্ষার্থীদের টাকা উত্তোলনের সময় উল্লেখিত হারে টাকা নিচ্ছে। এ সময় রাজবাড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেণীর ছাত্রী সাবিনা ইয়াছমিন, ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী শাহিদা আক্তারের অভিভাবক পারুল বেগম ও চাম্পাতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেণীর ছাত্রী সাগরিকা দাশ এর পিতা তপন কান্তি দাশ শিওর ক্যাশ এজেন্টরা তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নিয়েছে বলে এই প্রতিবেদককে জানায়।
এ বিষয়ে পৌর মার্কেটের শিওর ক্যাশের এজেন্ট ভিআইপি টেলিকম এর স্বত্তাধিকারী মো. ওসমান বলেন, আমরা জন প্রতি ২০/৩০ টাকা করে নিচ্ছি।
এদিকে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তপন কুমার চৌধুরী বলেন, আমি শিওরক্যাশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলব। তদন্ত স্বাপেক্ষে শিওর ক্যাশ এজেন্টদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ও তাদের এজেন্ট বাতিল করা হবে। তিনি ভুক্তভোগী অভিভাবকদের লিখিত আবেদন করতে বলেন।