নিউজ ডেস্ক:
লন্ডনে অনুষ্ঠিত ‘উগ্রপন্থী সন্ত্রাস থেকে মুক্তমনাদের সুরক্ষা’ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা বলেছেন, বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তি ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশ ও ব্রিটেনের বাংলাদেশী কমিউনিটিতে উগ্রপন্থী তৎপরতা বেড়েছে। ২০১০ সালে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠনের পর এই তৎপরতা আরো ব্যাপক হয়েছে।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি যুক্তরাজ্য শাখার ‘বছরব্যাপী রজত জয়ন্তী’ অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে গত মঙ্গলবার পূর্ব লন্ডনের মাইক্রোবিজনেস সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয় এই সেমিনার। স্বাধীনতা ট্রাষ্টকে সাথে নিয়ে নেটওয়ার্ক ফর সোস্যাল চেঞ্জের সহযোগিতায় যুক্তরাজ্য নির্মূল কমিটি আয়োজন করে এই সেমিনার।
স্বাধীনতা ট্রাষ্টের অর্গানাইজার জুলি বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে অতিথি আলোচক লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকস এন্ড পলিটিক্যাল সাইন্সের (এলএসই) অধ্যাপক চেটান বাট বাংলাদেশী কমিউনিটিতে উগ্রপন্থার প্রভাব বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন। নির্মূল কমিটি ও এলএসই’র সহযোগিতায় ‘ইসলামের নামে সন্ত্রাস: ব্লগার, সেক্যুলার এক্টিভিষ্ট ও মুক্তমনাদের উপর এর প্রভাব’ শীর্ষক স্বাধীনতা ট্রাষ্ট পরিচালিত এক গবেষণা রিপোর্ট পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন অধ্যাপক চেটেন বাট।
বক্তৃতায় সেই রিপোর্টের সার্বিক দিক তুলে ধরেন তিনি। সেমিনারে অতিথি আলোচক হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যানিষ্ট এন্ড এথিক্যাল ইউনিয়নের বব চার্চিল ও মনিটরিং প্রজেক্টের সুরেশ গ্রোভার। যুক্তরাজ্য নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সৈয়দ এনামুল ইসলামের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে শুরু হওয়া সেমিনার শেষে প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন যুক্তরাজ্য নির্মূল কমিটির সহসভাপতি ইসহাক কাজল, গণজাগরণ মঞ্চের অজন্তা দেব রায়, মাহমুদ এ রউফ, আইনজীবি নিঝুম মজুমদার, সৈয়দা নাজনিন সুলতানা শিখা, মোহাম্মদ ইয়াহিয়া, সলিসিটর পিয়া মায়নিন, যুক্তরাজ্য নির্মূল কমিটির আন্তর্জাতিক সম্পাদক পুষ্পিতা গুপ্ত ও সালিম মাহমুদ প্রমুখ।
সাউথ এশিয়ায় ইসলামের নামে সন্ত্রাস বিষয়ে বক্তৃতা করেন ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যানিষ্ট এন্ড এথিক্যাল ইউনিয়নের বব চার্চিল। ইসলামের নামে সন্ত্রাস: ব্লগার, সেক্যুলার এক্টিভিষ্ট ও মুক্তমনাদের উপর এর প্রভাব’ শীর্ষক গবেষণা পরিচালনার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে স্বাগত বক্তব্য দেন সৈয়দ এনামুল। মনিটরিং প্রজেক্টের সুরেশ গ্রোভার মৌলবাদী ধর্মীয় সন্ত্রাস মোকাবেলায় তাদের সংগঠন কি সহযোগিতা করতে পারে, তার উপর আলোকপাত করেন।
অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্য গণজাগরণ মঞ্চের তৈরী একটি প্রামান্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। উগ্রপন্থিদের টার্গেট ঝুঁকিতে রয়েছেন, এমন ব্লগার ও মুক্তমনাদের সাহায্যে ডাইরেক্টরী প্রকাশের ঘোষণা দেয়া হয় সেমিনারে।