নিউজ ডেস্ক:
ঢাকা-বরিশাল রুটের এমভি পারাবত-৯ লঞ্চের কেবিনে দেড় বছর আগে রহস্যজনকভাবে খুন হওয়া অজ্ঞাত যুবতীর (২০) পরিচয় আজও উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। গ্রেফতার করা যায়নি হত্যাকারীকে। দেড় বছর থানা পুলিশের তদন্তে হত্যার কোন কূল-কিনারা না হওয়ায় তিনমাস আগে মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) প্রেরণ করা হয়েছে।
তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা সিআইডির পরিদর্শক এসএম সহিদুল ইসলাম জানান, লঞ্চের কেবিনের মধ্যে ধর্ষণ শেষে গলায় ওড়না পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা ওই যুবতীকে।
২০১৫ সালের ৯ ডিসেম্বর ঢাকা সদরঘাটে এমভি পারবত-৯ লঞ্চের কেবিন থেকে অজ্ঞাতনামা যুবতীর লাশ উদ্ধারের পর ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। কিন্ত ওই যুবতীর পরিচয় না পাওয়ায় এ হত্যাকাণ্ডের কোন কূল-কিনারা করতে পারেনি থানা পুলিশ। অবশেষে মামলাটি সিআইডিতে স্থানান্তর করা হয়।
ঢাকা সিআইডি’র পরিদর্শক সহিদুল ইসলাম বলেন, হতভাগী যুবতীর পরিচয় নিশ্চিত হতে না পারলে হত্যাকাণ্ডের কূল-কিনারা উদঘাটণ করা কঠিন। তাদের ধারণা, ওই যুবতী কোন দরিদ্র পরিবারের মেয়ে। প্রেমের ফাঁদে ফেলে লঞ্চের কেবিনে তুলে ধর্ষণ শেষে তাকে খুন করা হয়েছে।
পারাবত লঞ্চ কোম্পানীর বরিশাল অফিস ইনচার্জ মো. সেলিম জানান, পারবত-৯ লঞ্চ ২০১৫ সালের ৮ ডিসেম্বর রাতে বরিশাল থেকে ছেড়ে ৯ ডিসেম্বর সকালে ঢাকার সদরঘাটে পৌঁছে। অন্য যাত্রীরা নেমে গেলেও ৩৩ নম্বর কেবিন আটকানো থাকায় লঞ্চের কর্মচারীরা ডাকাডাকি করে। ভেতর থেকে কোন সাড়া না পাওয়ায় পরে পুলিশের উপস্থিতিতে কেবিন খুলে অজ্ঞাত যুবতীয় ক্ষতবিক্ষত লাশ পাওয়া যায়। পরে লঞ্চের কেবিন রেজিষ্ট্রার থেকে জানা যায় জসিম পরিচয়ে এক যুবক কেবিনটি ভাড়া নেয়। ওই যুবক ৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় স্ত্রী পরিচয়ে ওই যুবতীকে নিয়ে লঞ্চের কেবিনে ওঠে।
ওই রাতে কেবিনের দায়িত্ব থাকা কর্মচারী জহিরের বরাত দিয়ে মো. সেলিম জানান, রাতের খাবার খাওয়া পর্যন্ত কেবিনে এক যুবক ও ওই যুবতীকে দেখা গেছে।