দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী স্থানীয়দের
মু.ওয়াছীঊদ্দিন,লক্ষ্মীপুুর প্রতিনিধি ঃ-
প্রায় ১৮ বছর যাবত ভাঙ্গনের কবলে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা কালীরচর এলাকা দিয়ে ঘেষে যাওয়া রহমতখালী খাল। প্রতি বছর বর্ষা আসলেই ভাঙ্গনের দেখা দেয় এটি। বিগত সময়ে ভাঙ্গনের কারণে খালে গর্ভে বিলিন হয়েগেছে শত শত ঘর-বাড়ী, ভেসেগেছে কয়েক হাজার একর ফসলি জমিসহ বিভিন্ন গাছপালা। এবারো প্রায় ৫ কিলোমিটার জুড়ে দেখা দিয়েছে ভাঙ্গন। এতে করে আতংকে স্থানীয়রা। ভাঙ্গন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে সে কোন সময় বিলিন হয়ে যেতে পারে প্রায় দুইটি গ্রামের কয়েক হাজার পরিবার।
বর্ষা আসলেই প্রতিটি মূহুর্তে আতংকে থাকে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার টুমচর ও কালীরচর গ্রামের কয়েক হাজার পরিবার। এ বুঝি আবারো ভেঙ্গে যাবে বাপ-দাদা রেখে যাওয়া সর্বশেষ বসতভিটা। প্রায় ১৮ বছর যাবত ভাঙ্গনের কবলে দুইটি গ্রাম দিয়ে ঘেষে যাওয়া রহমতখালী খাল। বিগত সময়ে ভাঙ্গনের কারণে খালে গর্ভে বিলিন হয়েগেছে শত শত ঘর-বাড়ী, ভেসেগেছে কয়েক হাজার একর ফসলি জমিসহ বিভিন্ন গাছপালা।
কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টির কারণে এরিমধ্যে প্রায় ৫ কিলোমিটার জুড়ে দেখা দিয়েছে ভাঙ্গন। বিশেষ করে হুমকির মুখে রয়েছে কালীরচরের চেরাং বাড়ী, মতলব বেপারী বাড়ী, নুরুল হুদা বেপারী বাড়ী সহ কয়েক শতাধিক বাড়ী। এতে আতংকে রয়েছে রহমতখালী খালের পাশে বসবাসরত কয়েক হাজার মানুষ।
এর আগে দ্বীর্ঘ সময়ে ভাঙ্গনের কারণে বসত-ভিটা হারিয়ে অন্যত্রে বসবাস করছে তিন শতাধিক পরিবারের কয়েক হাজার মানুষ। ওই সময় বিলিন হয়েগেছে গাছ-পালা, ঘর-বাড়ী ও কয়েক হাজার একর ফসলি জমি। আবার সবর্স্ব হারিয়ে পরের জায়গা মানবেতর জীবন যাপন করেছেন অনেকে।
রহমতখালী খাল ভাঙ্গন রোধে একাধিকবার উদ্দ্যোগ নিলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি বলে জানান স্থানীয়রা। দ্রুত এসব এলাকার ভাঙ্গন রোধে স্থানীয় প্রতিনিধি সহ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এমটাই প্রত্যাশা স্থানীয়দের।
দ্বীর্ঘ প্রায় ১৫ বছর যাবত এভাবেই ভেঙ্গে বিলিনের পথে তিনটি গ্রাম। সর্বস্ব হারিয়ে দিশেহারা অনেকে।
স্থানীয়দের অভিযোগ বিভিন্ন সময় ভাঙ্গন রোধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানালেও কোন উদ্যোগ নেয়নি জনপ্রতিনিধিরা। সামনের বর্ষা ও ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে মানচিত্র থেকে কালীরচর গ্রাম মুচে যাবে এমনটাই আশংকা স্থানীয়দের।
তাই পুরো বর্ষার আগেই ভাঙ্গন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি তাদের।