নিহত গৃহবধু লামিয়া সদর উপজেলার খিলবাইছা গ্রামের আলী আহসানের মেয়ে। ঘাতক স্বামী আরিফ বশিকপুর ইউনিয়নের শেরপুর গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানায়, বিয়ের পর থেকে গৃহবধূ লামিয়া আকতার ও তার পরিবারকে যৌতুকের জন্য চাপ দেয় স্বামী আরিফ ও শশুরবাড়ির লোকজন। এ নিয়ে প্রায়ই লামিয়াকে শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন চালাত তারা।
শুক্রবার দিনে এবং রাতে স্বামী আরিফসহ অন্যরা একাধিক বার নির্যাতন চালালে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে গৃহবধূ লামিয়া। এরপরেও তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়নি। শনিবার রাতে আবারো নির্যাতন চালানো হয়। পরদিন রাতেও নির্যাতন চালানোর পর এক পর্যায়ের রাতের কোন এক সময় গৃহবধু লামিয়াকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় বলে স্বজনদের অভিযোগ।
এসময় পালিয়ে যায় ঘাতক স্বামী আরিফ ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
চন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার কারা হয়েছে। তবে এখই কিছু বলা যাচ্ছে না। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।