মেয়েটির মৃত্যুতে পরিবার ও গ্রামবাসীর মাঝে শোকের ছায়া বিরাজ করছে। নিহত জিমু ওই গ্রামের বাসিন্দা ও রায়পুর রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক মশিউর রহমানের একমাত্র মেয়ে এবং সে একই কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্রী। এ ঘটনায় সন্ধায় নিহতের মা নাছিমা আক্তার বাদি হয়ে থানায় ইউডি মামলা করেছেন। পুলিশ নিহত জিমুর মৃত দেহটি ময়না তদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।
পুলিশ সাংবাদিকদের জানান-ঈদ উপলক্ষে কয়েকদিন ধরে মেয়েটি তার মা-বাবাকে কোথায়ও বেড়ানোর জন্য অনুরোধ করে আসছিল। সোমবার একই আবদার করে জিমু। কিন্তু তাতেও কোন লাভ হয়নি। বাড়ীতে মা-বাবার অনুপুস্থিতিতে জিমু ক্ষোভে-অভিমানে নীজ ঘরের আড়ার সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করে। বিকেলে মা-বাবা বাজার থেকে বাড়ীতে গিয়ে দেখেন নীজ কক্ষ ভেতর থেকে বন্ধ রেখে আড়ার সাথে ঝুলতে দেখে বাড়ীর লোকদের চিৎকার করে জানান দিয়ে অচেতন হয়ে পড়েন।
ঘটনার সংবাদ পেয়ে পুলিশ গিয়ে জিমুর মৃত দেহ উদ্ধার করে। স্থানীয় কাউন্সিলর নাসির উদ্দিন রাসেল জানান, মেয়েটি মেধাবি ও ভালো ছিলো। মা-বাবার আদরের একমাত্র সন্তান ছিলো। অভিমানে তার এ মৃত্যুতে আমরা শোকাহত।
রায়পুর থানার ওসি একেএম আজিজুর রহমান মিয়া বলেন, মেয়েটি তার মা-বাবাকে ঈদ উপলক্ষে বেড়ানোর কথা বলে। অভিভাবকরা কথা না শুনায় তাদের উপর অভিমান করে নীজ ঘরে মা-বাবার অনুপুস্থিতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করেছে। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় ইউডি মামলা হয়েছে।