মু.ওয়াছীঊদ্দিন,লক্ষীপুর প্রতিনিধিঃ- লক্ষীপুরের কমলনগরে পরকীয়ার মিথ্যা অপবাধ এনে শারমিন আক্তার নিপু নামে এক গৃহবধূর মাথার চুল কেটে ন্যাড়া করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামী মানিকের বিরুদ্ধে। সোমবার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে চারিদিকে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এর আগে ২৫ মে শুক্রবার গভীর রাতে উপজেলার চর কালকিনি ইউনিয়নে ছিদ্দিকের বাপের বাড়ি প্রকাশ ভান্ডারী ছিদ্দিকের বাড়িতে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটে।
নির্যাতিন গৃহবধ‚ নিপু নোয়াখলী সদরের আন্ডার চর ইউনিয়নের সিরাজুল ইসলামের প্রকাশ মিয়া মাঝির মেয়ে।
জানা যায়, উপজেলার কালকিনি গ্রামের মোস্তফা প্রকাশ বোবা মোস্তফার ছেলে মানিকের সঙ্গে বিয়ে হয় নিপুর। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই দাম্পত্য কলহ চলতে থাকে।
নির্যাতিত গৃহবধ‚ নিপু জানান, বিয়ের পর স্বামী মানিক নোয়াখালীতে চাকরি করতে গিয়ে একটি মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। তার প্রতিবাদ করলে প্রায় সময় তাকে নির্যাতন করতো। ঘটনার পূর্বে বিদেশ যাওয়ার অযুহাতে আমার বাপের বাড়ি থেকে এক লক্ষ টাকা এনে দিতে বলে স্বামী ও শশুর বাড়ির লোকজন। টাকা দিতে অপরাগতা জানালে খারাপ ভাষায় গালমন্দ করে। গালমন্দ করতে নিষেধ করলে ক্ষিপ্ত হয়ে মারধর করে। একপর্যায়ে দেবর ও শাশুড়ির সহযোগীতায় কেসি দিয়ে মাথার চুল ন্যাড়া করে এবং পৈশাচিক নির্যাতন চালায়।
গৃহবধূ আরো জানান, এত নির্যাতন করেও খ্যন্ত হয়নি তারা। কর্তনকৃত চুল চুলার আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। পরে শাশুড়ির পায়ে ধরে আকুতি মিনতি করে কিছু অংশ চুল রক্ষা করা যায়। চুলহাতে নিয়ে কথাগুলো বলতে বলতে ফ্যাল ফ্যালিয়ে কাঁদতে থাকেন।
গৃহবধূর পিতা সিরাজুল ইসলাম জানান, আমার মেয়েকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেছে। বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার দাবি করছি।
ঘটনার সময় মাথা ঠিক ছিলো না, রাগের মাথায় এমন কাজ করেছি বলে মোবাইল ফোনে জানান অভিযুক্ত স্বামী মানিক।
এবিষয়ে কমলনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। ক্ষতিগস্ত গৃহবধূর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কেউ অভিযোগও করেননি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।