মোঃ সালমান হোসাইন, নাটোর জেলা সংবাদদাতাঃ
নাটোরের বড়াইগ্রামে র্যাবেরসাথে বন্দুকযুদ্ধে ওসমান গণি (৩৮) নামে এক মাদক ব্যাবসায়ী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন দুই র্যাব সদস্য। এ সময় ৪১০ গ্রাম হেরোইন, একটি ৭.৬২ বিদেশী পিস্তল, ৪ রাউন্ড গুলি ভর্তি একটি ম্যাগজিন, পিস্তলের গুলির একটি খালি খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ই জুলাই) রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে উপজেলার বাহিমালি এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধ হয়। নিহত ওসমান বনপাড়া পৌর এলাকার গুরুমশইল গামের মৃত মনসুর আলীর ছেলে। আহতরা হলেন সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মনজুর আহমেদ ও কনস্টেবল এনামুল হক।
র্যাব-৫ সিপিসি-২ নাটোর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর শিবলী মোস্তফা জানান, বাহিমালী বাজার মোড় থেকে ভাটুপাড়া গ্রামে যাওয়ার একশত গজ উত্তরে কাঁচা রাস্তার উপর টর্চের আলো এবং কিছু লোকের আনাগোনা দেখতে পায় র্যাব সদস্যরা। এসময় তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে র্যাবেরটহল দল উক্ত স্থানের দিকে অগ্রসর হয়। এসময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে কিছু লোক দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। তাদেরকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিলে তারা টহল দলকে লক্ষ্য করে অতর্কিত গুলি বর্ষণ শুরু করলে র্যাবও পাল্টা গুলিবর্ষণ করে। এসময় মাদক ব্যবসায়ী দলের ৩-৪ জন সদস্য পালিয়ে যায় এবং গুলিবিদ্ধ অবস্থায় অজ্ঞাতনামা একজন পড়ে থাকে।
পরে তাকে দ্রুত বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন এবং পরবর্তীতে থানা পুলিশের মাধ্যমে নিহতের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়। নিহত ওসমান গণির বিরুদ্ধে নাটোর জেলার বিভিন্ন থানায় মাদক ও চাঁদাবাজিসহ ৫টি মামলা রয়েছে এবং সে নাটোর জেলার অন্যতম শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত বলে দাবি র্যাবের ।
এদিকে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ওসমান গণির ভাই শাহিন সেখ ও পরিবারের সদস্যরা জানান, মঙ্গলবার বিকাল ৪টার দিকে বনপাড়া পৌরসভার রশিদ ডিলারের মোড় থেকে র্যাব সদস্যরা হেলমেট পরিয়ে তাকে মোটরসাইকেলযোগে তুলে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে তার খোঁজে র্যাব , ডিবি ও থানা অফিসে খোঁজ করা হলে ওসমান গণিকে আটক বা তুলে আনার কথা অস্বীকার করেন। এরপর রাত দুইটার দিকে ফেসবুকে সাংবাদিকদের নিউজ দেখে জানা যায় র্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে সে নিহত হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি, ওসমান গণি গত ৬ মাস যাবত কোন মাদক কেনা-বেচার সাথে জড়িত ছিল না।
ওসমান গনির মৃতদেহ নাটোর আধুনিক হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য নেয়া হয়েছে ।