মঙ্গলবার, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৫
মঙ্গলবার, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৫

রোগ প্রতিরোধে সাথে থাকুক টক দই , তবে মাথায় রাখুন খাওয়ার আগে এ সব ।

নিউজ ডেস্ক:

রোজকার পাতে দই থাকে অনেকেরই। রান্নাতেও ব্যবহার করেন কেউ। কেউ আবার খান দুধের বিকল্প হিসেবে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (ইমিউনিটি) বাড়াতে পারলেই সহজ হবে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই, এই কথা মাথায় রেখেই রোজের পাতে দই রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা।

শরীরে শক্তি বাড়াতে যেমন কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট দরকার, তেমনই খেয়াল রাখতে হবে যেন খাবারের মধ্যে ভিটামিন ও মিনারেল সম পরিমাণে থাকে। কোভিড আতঙ্কে বাড়ছে উদ্বেগও। তাই সব মিলিয়ে রোজের ডায়েটে এমন কিছু রাখতেই হবে, যা পুষ্টিকর এবং সুষম।

“দ্বিতীয় মস্তিষ্ক বলা হয় মানুষের ‘গাট’ (অন্ত্র)-কে। আর এই অন্ত্রকে সুস্থ রাখতে পারলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটাই বেড়ে যায়। এর মূল কারণ প্রো বায়োটিক’’— এমনই বলেন পুষ্টিবিদ সোমা চক্রবর্তী।

বহু রোগে পথ্য হিসেবে দই খেতে বলা হয়। এর মধ্যে রয়েছে প্রো-বায়োটিক উপাদান অর্থাৎ বন্ধু ব্যাকটিরিয়া। যেগুলো শরীরের মধ্যে ক্ষতিকারক ব্যাকটিরিয়াকে ধ্বংস করে পরিপাকে সাহায্য করে। ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। এ ছাড়া প্রোটিন, ফ্যাট, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন এ, বি ৬, বি ১২-সহ নানা পুষ্টিকর উপাদানে ভরপুর টক দই।

উপকারিতা

১. টক দই শরীরে টক্সিন জমতে দেয় না। ফলে কোষ্ঠ পরিষ্কার থাকে। টক দই শরীরের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। আবার রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বা এলডিএলের মাত্রাও কমিয়ে দেয়।

২. টক দই খেলে হজম শক্তি ভাল থাকে। কারণ এটি ভাল ব্যাকটিরিয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। আলসারের আশঙ্কাও কমে এর ফলে।

৩. শরীরের মেদ বৃদ্ধিতে সহায়ক হরমোন তৈরিতেও বাধা দেয় টক দইয়ে থাকা ক্যালসিয়াম। তাই টক দই খেলে বাড়তি ওজন কমার সম্ভাবনাও রয়েছে। একই কারণে রোজ টক দই খেলে দাঁতের গঠনও মজবুত হয়।

সতর্কতা

১. দই পাতার পরে ২৪ ঘণ্টার বেশি রাখা থাকলে দইয়ের পুষ্টিগুণ ক্রমশ কমতে থাকে।

কতটা খেতে হবে

১. বাড়িতে পাতা টক দই ছোট বাটির এক বাটি খাওয়া যেতে পারে রোজ। অর্থাৎ ১০০ থেকে ২০০ গ্রাম।

২. কৃত্রিম স্বাদ-গন্ধযুক্ত দই খেলে কোনও উপকার হয় না।

৩. টক দইয়ের সঙ্গে ফল মিশিয়ে স্যালাড হিসেবে খাওয়া যেতে পারে।

৪. রান্নায় ব্যবহার করা টক দইয়ের পরিবর্তে ঘরের টক দইয়ের উপকারিতা বেশি।

৫. ঘরের তাপমাত্রায় রাখা টক দই খাওয়াই ভাল।

মেডিসিনের চিকিৎসক রাজর্ষি সেনগুপ্ত বলেন, “অনেকেই দুধের বিকল্প হিসেবে টক দই খান। প্রোটিন থাকে বলে তা খুবই উপকারী। করোনা আবহে রোগ প্রতিরোধের জন্য প্রচুর পরিমাণে শাক সব্জি খেতে হবে। মাস্ক পরতে হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এক দিনে বেড়ে যায় এমনটা কখনওই নয়, এ কথাও মাথায় রাখতে হবে।’’

সূত্র : আন্দবাজার

Similar Articles

Advertismentspot_img

Most Popular