নিউজ ডেস্ক:
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন রূপালী ব্যাংকের সব শাখা অনলাইন কার্যক্রমের আওতায় এসেছে।
এ উপলক্ষে মঙ্গলবার ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আতাউর রহমান প্রধান সাংবাদিকদের জানান, গ্রাহকদের সর্বাধুনিক সেবা ও ব্যাংকের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা-গতি আনতে সবগুলো শাখায় অনলাইন কার্যক্রম শুরু করেছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন রূপালী ব্যাংক।
তিনি বলেন, কোর ব্যাংকিং সল্যুশনের (সিবিএস) আওতায় ব্যাংকের ৫৬৩টি শাখা থেকে গ্রাহক রিয়েল টাইম ব্যাংকিং সেবা ও লেনদেন করতে পারবেন। এজন্য কোনো চার্জ আদায় করা হবে না।
তিনি বলেন, দেশের দুর্গম অঞ্চলের শাখাগুলোও অনলাইনের আওতায় আনা হয়েছে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য উত্তরের পঞ্চগড় শাখা, দক্ষিণে কক্সবাজারের উখিয়ার কোট বাজার শাখা, পূর্বে সিলেটের জকিগঞ্জের কালিগঞ্জ শাখা, পশ্চিমে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট শাখা, দক্ষিণ-পশ্চিমের ভোলার চর ফ্যাশনের জিন্নাগঞ্জ শাখা, পটুয়াখালীর বাহেরচর শাখা। তবে বাহেরচর শাখাটি সোলার প্যানেল ও জেনারেটরের সাহায্যে অনলাইন কার্যক্রম চলে।
আতাউর রহমান বলেন, রূপালী ব্যাংকের সব শাখা অনলাইনের আওতায় আনার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথ আরো একধাপ এগিয়ে গেলো।
তিনি বলেন, শতভাগ অনলাইন বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে ব্যাংকের আইটি বিভাগের তরুণকর্মীদের প্রচেষ্টায়। তবে বাস্তবায়ন বড় কথা নয়। পরবর্তী পদক্ষেপগুলো আরো কঠিন। ব্যাংকের প্রধান কাজ আমানত সংগ্রহ ও ঋণ বিতরণ করা। এর বাইরেও অনেক কাজ থাকে। এখন থেকে যেকোনো শাখায় এলসি খোলা থেকে শুরু করে রেমিট্যান্স পাঠানোসহ সব ধরনের লেনদেন করা যাবে।
তিনি আরো বলেন, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। সেগুলো ছাড় দিয়েই আমরা আজকের এ অবস্থানে এসেছি। স্বচ্ছতার মধ্যে এগিয়ে যেতে চাই।
শতভাগ সেবার গুণগত মান বজায় রাখার আশ্বাস দিয়ে অনলাইন হওয়ার সঙ্গে ঝুঁকি বেড়েছে বলেও মন্তব্য করেন সিইও আতাউর রহমান।
অনুষ্ঠানে ব্যাংকের চেয়ারম্যান মনজুর হোসেন বলেন, আমাদের লক্ষ্য একটাই, স্বচ্ছতার সঙ্গে এগিয়ে নেওয়া। অনলাইনে একটি সিস্টেমের মাধ্যমে শাখাগুলো পরিচালিত হবে। তবে এখন আমাদের অনলাইন কার্যক্রমের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এতে নজরদারি ও উন্নয়নের দায়িত্ব বেড়েছে। আরো ভালো করতে চাই। তবে বেস্ট হতে চাই না।