রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ৫০০ কোটি ডলার ঘুষ দেয়ার তথ্য পুরোপুরি মিথ্যা ও গুজব বলে দাবি করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার মান্টিটস্কি।
রোববার (২৫ আগস্ট) অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে এ দাবি করেন মান্টিটস্কি।
রুশ রাষ্ট্রদূত বলেন, ৫ বিলিয়ন ডলার একটি বড় অঙ্কের অর্থ। যেখানে প্রকল্পের কাজ এখনো চলমান, সেখান থেকে এত বেশি অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার সুযোগ নেই।
কেউ পাগল নয় যে এতগুলো অর্থ দিয়ে দেবে। এটা সম্পূর্ণ গুজব এবং মিথ্যা অভিযোগ।
আলেক্সান্ডার মান্টিটস্কি আরও বলেন, গেল জানুয়ারিতে বাংলাদেশের সংসদ নির্বাচনের আগেই এই গুজবের প্লট তৈরি করা হয়েছিল।
অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে রুশ রাষ্ট্রদূত জানান, নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কথা হয়েছে। আগামীতে সব ধরনের আর্থিক সহায়তা এবং উন্নয়নে বাংলাদেশের পাশে থাকবে রাশিয়া।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে মার্কিন ওয়েবসাইট গ্লোবাল ডিফেন্স কর্প বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৫শ’ কোটি ডলারের বেশি আত্মসাৎ করেছেন বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করে; যা পরবর্তীতে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমেও প্রচারিত হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, মালয়েশিয়ার একটি ব্যাংকের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে এই বিশাল অঙ্কের অর্থ আত্মসাতের সুযোগ করে দেয় প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা রোসাট্রম। আর তাতে মধ্যস্থতা করেন তার ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিক।
মার্কিন পোর্টালটির ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এই মধ্যস্থতার বিনিময়ে পাচার করা অর্থের ৩০ শতাংশ পেয়েছেন টিউলিপ, শেখ রেহানা ও পরিবারের কয়েকজন সদস্য। ২০১৩ সালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে শেখ হাসিনার সাক্ষাতের সময় সঙ্গী হয়েছিলেন টিউলিপ সিদ্দিক। গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পের দাবি, সে সময় ঢাকা-মস্কোর বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র চুক্তির মধ্যস্থতাও করেন তিনি।
প্রতিবেদনটিতে এও বলা হয় যে, ২০০৯ সালে ‘প্রচ্ছায়া লিমিটেড’ নামে একটি ভুয়া কোম্পানি চালু করেন টিউলিপ সিদ্দিক, তার মা শেখ রেহানা ও চাচা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক। যুক্তরাষ্ট্রেও জুমানা ইনভেস্টমেন্ট নামে একটি কোম্পানি রয়েছে তাদের। গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পের অভিযোগ, এই কোম্পানির মাধ্যমেই বিভিন্ন দেশের অফশোর অ্যাকাউন্টে অর্থপাচার করতেন শেখ হাসিনা।