নিউজ ডেস্ক:
কমনীয়তা ধরে রাখার পাশাপাশি ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধিতেও ভাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কমনীয়তা থাকলেই ত্বক নরম এবং সুন্দর হয়ে উঠবে। শুষ্কতা দূর করে ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে আরও নানা ভাবে ভাত ব্যবহার করা যায়। জেনে নেয়া যাক সে সম্পর্কে।
১. ভাত এবং মিল্ক পাউডার ফেস মাস্ক
অল্প করে ভাত নিয়ে তাতে পরিমাণ মতো মিল্ক পাউডার যোগ করে নিন। এই মিশ্রনের সঙ্গে ১ চামচ মধু এবং দুধও মেশাতে হবে। সবকটি উপকরণ ভাল করে চটকে নিন, যাতে উপকরণগুলি একে অপরের সঙ্গে মিশে যেতে পারে। যদি দেখেন মিশ্রনটা খুব থকথকে হয়ে গেছে, তাহলে প্রয়োজন মতো আরও দুধ বা পানি মেশাতে পারেন। পেস্টটা বানানো হয়ে গেলে সারা মুখে ভাল করে লাগিয়ে ফেলুন। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে মুখ ধুয়ে নিন। প্রসঙ্গত, ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে এই ফেস প্যাকটি সাহায্য করে।
২. ভাত এবং হলুদের ফেস মাস্ক
অল্প করে ভাত নিয়ে তাতে পরিমাণ মতো হলুদ, ১ চামচ দুধের সর এবং ১ চামচ মধু মিশিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন উপকরণগুলি। তারপর সারা মুখে লাগিয়ে ফেলুন এই পেস্টটি। কিছু সময় রেখে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখটা ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখার পাশপাশি প্রদাহ রোধ করতেও এই ফেস প্যাকটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৩. পেঁপে এবং ভাতের ফেস মাস্ক
পরিমাণ মতো পেঁপে নিয়ে ভাল করে চটকে নিন। তারপর তাতে ১ চামচ মধু, ৩-৪ চামচ ভাত এবং অল্প করে হলুদ মিশিয়ে নিন। সবকটি উপকরণ মেশানোর পর পেস্টটা মুখে এবং গলায় লাগিয়ে ফেলুন। কিছু সময় পরে মুখ ধুয়ে নিন। এই ফেস প্যাকটি ত্বকের শুষ্কতা দূর করে। সেই সঙ্গে ব্রণর প্রকোপও কমায়।
৪. ভাত এবং গ্রিন টি
একবাটি ভাতকে ভাল করে চটকে নিন। তারপর এক মুঠো গ্রিন-টির পাতা নিয়ে জলে মিশিয়ে জলটা ফোটান। যখন দেখবেন পাতাগুলি ভাল করে ফুটে গেছে, তখন সেগুলি সংগ্রহ করে আলাদা একটা বাটিতে রেখে দিন। এবার ভাতের সঙ্গে গ্রিন-টির পাতাগুলো যোগ করে বানিয়ে ফেলুন ফেস মাস্কটি। পেস্টটা কম করে ২০ মিনিট রেখে মুখটা ভাল করে ধুয়ে নিন।
৫. ভাত, গোলাপ জল এবং দই
এক কাপ ভাতের সঙ্গে এক কাপ দই এবং ১ চামচ গোলাপ জল মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে ফেলুন। এই ফেস প্যাকটি বানানোর সময় খেয়াল রাখবেন সবকটি উপদান ভাল করে যেন মিশে যায়। পেস্টটি মুখে লাগিয়ে মাসাজ করুন। ১৫ মিনিট পরে মুখটা হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে নিন। এই ফেস মাস্কটি ত্বকের পরিচর্যায় দারুনভাবে কাজে আসে।
৬. ভাত এবং দারুচিনির মাস্ক
ত্বক শুষ্ক হলে ১ কাপ ভাতের সঙ্গে ২ চামচ দারচিনি গুঁড়ো, ১ চামচ গ্লিসারিন এবং ১ চামচ মধু মিশিয়ে বানাতে হবে এই ফেস মাস্কটি। ভাল করে উপকরণগুলি মিশে যাওয়ার পর পেস্টটা মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। সময় হয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন।
৭. ভাত এবং ক্রেনবেরি জুস
১ কাপ ভাতের সঙ্গে পরিমাণ মতো ক্রেনবেরি জুস, ১ চামচ লেবুর রস এবং ১ চামচ ইপ্সম লবন ভাল করে মিশিয়ে একটা মিশ্রন বানিয়ে ফেলুন। তারপর সারা মুখে লাগিয়ে নিন পেস্টটা। কিছু সময় পরে মুখ ধুয়ে নিন। প্রসঙ্গত, ত্বকের বয়স কমাতে এই ফেস মাস্কটি দারুন ভাবে সাহায্য করে।