নিউজ ডেস্ক:
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর বিরুদ্ধে আদালতের সমন জারি হয়েছে। ৩১ জুলাই তাকে স্প্যানিশ আদালতে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রিয়াল মাদ্রিদের এ পর্তুগিজ তারকার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি ১৪.৭ মিলিয়ন ইউরো (১৩২ কোটি টাকা প্রায়) কর ফাঁকি দিয়েছেন। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো অবশ্য বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। ইউরোপ জুড়ে গুজব রটেছে, তিনি নাকি এরই মধ্যে হুমকি দিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে যাওয়ার।
এমনকি কোথায় কোথায় যেতে পারেন তিনি, তারও একটা লিস্ট ইউরোপিয়ান মিডিয়ায় ঘুরপাক খাচ্ছে। কেউ বলছেন, রোনালদো সেই পুরনো ঠিকানায় ফিরতে যাচ্ছেন। কেউ বলছেন, পিএসজিই হবে রোনালদোর পরবর্তী ঠিকানা।
এমনকি কেউ কেউ ম্যানসিটিকেও এ পর্তুগিজ তারকার নতুন ঠিকানা হিসেবে কল্পনা করছেন। রোনালদোর পক্ষ থেকে অবশ্য এখনো তেমন কিছুই বলা হয়নি। বরং তার ক্লাব প্রেসিডেন্ট পিরেজ বলছেন, কোথাও যাচ্ছেন না রোনালদো।
তিনি রিয়াল মাদ্রিদেই থাকছেন। গেল মৌসুমে ইতিহাসই গড়েছেন রোনালদো। টানা দুটি উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছেন তিনি। বার্সেলোনার আধিপত্য শেষ করে জয় করেছেন লা লিগাও। দুরন্ত একটা মৌসুম কাটানোর পর এরই মধ্যে তিনি আরও একবার ব্যালন ডি’অরের জন্য নিজেকে যোগ্য বলে ঘোষণা করেছেন।
কিন্তু কর ফাঁকির অভিযোগ শুনেই রোনালদো ক্ষেপে গেছেন। তিনি বার বারই নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন।
লিওনেল মেসির বিরুদ্ধেও এমন অভিযোগ উঠেছিল। মেসিকে শেষ পর্যন্ত জরিমানা দিতে হয়। ২১ মাসের কারাদণ্ডও দেওয়া হয়েছিল মেসিকে। তবে মেসি ভাগ্যবান যে তাকে কারাদণ্ড ভোগ করতে হয়নি।
স্পেনের নিয়মানুযায়ী দুই বছরের কম কারাদণ্ড হলে তা ভোগ করতে হয় না।
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোও কী এভাবে বেঁচে যাবেন! মেসির বিরুদ্ধে অবশ্য রোনালদোর চেয়ে অনেক কম অর্থ কর ফাঁকির অভিযোগ ছিল। এরই মধ্যে রিয়াল মাদ্রিদ রোনালদোর পক্ষে দাঁড়িয়েছে। সবাই পর্তুগিজ তারকাকে নির্দোষ দাবি করছেন। কিন্তু স্প্যানিশ আদালত কী করে এখন তাই দেখার বিষয়।