নিউজ ডেস্ক:
নিউ ইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টের চুরি হওয়া অবশিষ্ট অর্থ ফেরত পাওয়ার আপাতত কোন সুখববর নেই। তবে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ভাল কোন সংবাদ হতেও পারে। কিন্তু সেটা কতদিন লাগবে তা জানাননি ফিলিপাইনের অর্থমন্ত্র্রী কার্লোস ডমিনগুয়েজ।
গত শনিবার জাপানের ইয়োকোহামায় এশিয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ৫০ তম বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতে এসে ফিলিপাইনের অর্থমন্ত্র্রী এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে নিউ ইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভে বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে ৮১ মিলিয়ন ডলার হ্যাক করে চুরি করে নিয়ে যায় হ্যাকাররা।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা সবাই চেষ্টা করছি। বিষয়টি অত্যন্ত সংবেদনশীল। আইনি প্রক্রিয়া চলছে। এটা কতদিন চলবে সে বিষয়ে আমি কোন মন্তব্য করতে পারিনা। এটা সম্পূর্ণভাবে আইনি প্রক্রিয়ার উপর নির্ভর করছে। আইনি প্রক্রিয়া চলছে, এটা কবে শেষ হবে বলা মুসকিল। তবে এটা বাংলাদেশের জন্য কোন সুখবর বয়ে আনতেও পারে।
চুরি হওয়া টাকা নিয়ে বাংলাদেশের জনগণের মধ্যেএকধরনের হতাশা কাজ করছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিষয়টি খুবই স্বাভাবিক। দেশের জনগণের মধ্যে হতাশা দেখা দিতেই পারে। তবে চুরির ঘটনা তো আর ফিলিপাইনে হয়নি। এটা ঢাকা এবং নিউইয়র্কে হয়েছে।
সন্দেহভাজন হ্যাকাররা বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকউন্ট থেকে প্রায় এক বিলিয়ন ডলার চুরি করার চেষ্টা চালিয়েছিল। কিন্তু তারা ৮১ মিলিয়ন ডলার ম্যানিলার রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংক করপোরেশনের চারটি অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করতে পেরেছিল। নানা উদ্যোগের পর গত নভেম্বরে ফিলিপাইন সরকার চুরি হওয়া ১৫ মিলিয়ন ডলার বাংলাদেশকে ফেরত দিয়েছে।
ফিলিপাইনে ব্যাংকগুলোর গোপনীয়তায় হস্তক্ষেপ করা হয় না। এছাড়া অ্যান্টি মানি লন্ডারিং আইনেও দূর্বলতা রয়েছে। ফলে চুরি হওয়া অর্থ কি অবস্থায় কোথায় আছে তা বের করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে দেশটির মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন জোরদার করা হচ্ছে বলে জানান ফিলিপাইনের অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, আইনের সংস্কার হচ্ছে। এটা হলে ক্যাসিনোগুলোকেও আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে। বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী ফিলিপাইন সফর করেছেন। তার সঙ্গে ফিলিপাইন কর্তৃপক্ষের কথা হয়েছে।