নিউজ ডেস্ক:
একেবারে ভালো ছাত্রীর মতো কলেজে এসে ক্লাসে বসে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের লেকচার শুনল একটি পোষ্য কুকুর। অন্য কোনও পড়ুয়াকে সে একটুও বিরক্ত করেনি।
বরং মন দিয়ে পড়া শুনেছে। লুনা খুব বিশেষ একটি পোষ্য। তাকে কলেজের শ্রেণীকক্ষে নিয়ে আসার পেছনের কারণ জানলে আপনার মনটা সত্যিই ভাল হয়ে যাবে।
আমেরিকার জর্জিয়া সাউর্থান বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্রী জেসিকা লিউয়িশের গুরুত্বপূর্ণ লেকচার ছিল। জেসিকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন একটি বাড়িতে পেইংগেস্ট থাকেন। জেসিকার ইচ্ছা ছিল, কলেজে শেষ রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ক্লাসটা করে তিনি আটলান্টায় নিজের বাড়িতে তাড়াতাড়ি চলে যাবেন।
কারণ হ্যারিকেন ইর্মার জন্য রাস্তায় অনেক সময়ই আটকে পড়তে হচ্ছে অনেককে। কিন্তু বাধ সাধছে তার পোষ্যটি। কলেজ থেকে আবার লুনাকে নিতে যেতে গেলে অনেকটা সময় বরবাদ হবে। লুনাকে তার সঙ্গে ক্লাসে নিয়ে আসার অনুমতি চেয়ে জেসিকা তার রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপককে একটি সুন্দর ই–মেইল করে বসলেন।
ই–মেইলে তিনি অধ্যাপককে ‘কুল’ বলে সম্বোধন করেন এবং তার থেকে অনুমতি চান জেসিকা। জেসিকা ই–মেইলে বলেন, ‘আমি কথা দিচ্ছি লুনা কোনও রকম বিরক্ত করবে না ক্লাস চলাকালীন। ’ ই–মেইলের সঙ্গে জেসিকা তাঁর পোষ্যর ফটোও দিয়ে দেন।
জেসিকার মেইল পেয়ে অধ্যাপক জোশুয়া কেন্নেডি অবশেষে রাজি হন। তিনি জেসিকাকে মেইল করে বলেন, ‘তোমার কী মনে হয় আমায় কুল বললেই আমি রাজি হব। তোমার এই কৌশল কাজে আসেনি। কিন্তু তোমার কথামতো লুনা খুবই ভাল মেয়ে তাই ক্লাসে সে ভাল ছাত্রী হয়ে থাকলে তুমি অবশ্যই তাকে নিয়ে আসতে পার। ’ জেসিকা অধ্যাপকের মেইল পেয়ে খুশিতে আত্মহারা হয়ে যায় এবং রুমমেটদের সেই মেইলও দেখায়।
তাই লুনা ক্লাসে আসার অনুমতিও পেল এবং একেবারে ভাল ছাত্রীর মতই অধ্যাপকের লেকচারও শুনল। তবে রাষ্ট্রবিজ্ঞান আদৌও বুঝল কিনা তাতো লুনাই বলতে পারবে।