রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সচিবালয়ে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
“রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করতে যাচ্ছি,” বলেন মি. ভূঁইয়া।
মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে বঙ্গভবনের সামনের রাস্তা অবরোধের পর রাতে ব্যারিকেড ভেঙে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করে বিভিন্ন সংগঠনের কর্মীরা।
পুলিশ ও সেনা সদস্যরা লাঠিচার্জ, টিয়ার সেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। মধ্যরাত পর্যন্ত সেখানে উত্তেজনা চলে।
সংঘর্ষ আহত অবস্থায় পাঁচ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার যে পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়েছে, সেখানেও অন্যতম দফা হিসেবে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের বিষয়টি রয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ এক ফেসবুক পোস্টে জানান, “ইতোমধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ আমাদের সাথে আলোচনার জন্য আগামীকাল (বুধবার) সময় দিয়েছেন।”
“আমরা প্রত্যাশা করি, ছাত্রজনতার পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেবে।”
প্রসঙ্গত, দৈনিক মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী তার লেখা এক রিপোর্টে উল্লেখ করেছেন যে রাষ্ট্রপতি তাকে বলেছেন ‘শেখ হাসিনার পদত্যাগের কোন দালিলিক প্রমাণ তার হাতে নেই’।
এরপর থেকে, সামাজিক মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকার সমর্থক ও আওয়ামী লীগ বিরোধীরা রাষ্ট্রপতির তীব্র সমালোচনা করে তার পদত্যাগ কিংবা তাকে সরিয়ে দেয়ার জোর দাবি জানাতে থাকে।
তবে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র ইস্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের মন্তব্যের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারীদের অনেকেই তার বিদায় চাইলেও আইন ও সংবিধান অনুযায়ী তাকে পদ থেকে সরিয়ে দেয়ার সুযোগ আছে কিনা, সে ব্যাপারেও রয়েছে আলোচনাও।
খবর: বিবিসি বাংলা