সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে রাশিয়ার তেল সরবরাহকে সীমিত করতে তেল বহনকারী অয়েল ট্যাংকারগুলোই এই নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য বলে হোয়াইট হাউজ সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছেন তারা।
ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর মস্কোর বিরুদ্ধে ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ওয়াশিংটন ও তার পশ্চিমা মিত্ররা। এ সব নিষেধাজ্ঞার অধিকাংশের লক্ষ্য ছিলো রাশিয়ার জ্বালানি রফতানিকে বাধাগ্রস্ত করা।
তবে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে নানাভাবে বিশ্বজুড়ে নিজেদের তেল রফতানি অব্যাহত রেখেছে রাশিয়া। এ অবস্থায় ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে রাশিয়ার আর্থিক সামর্থ্যকে সীমিত করতে মস্কোর ওপর নতুন করে অর্থনৈতিক চাপ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে ওয়াশিংটন। রাশিয়ার তেলবাহী অয়েল ট্যাংকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি তার মধ্যে অন্যতম।
নিষেধাজ্ঞা আরোপের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব বিভাগের তরফে এরমধ্যেই পরিকল্পনা প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস। তবে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাদ সেধেছে হোয়াইট হাউজে অবস্থানরত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অর্থনৈতিক উপদেষ্টারা।
তাদের মতে, এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে বিশ্বজুড়ে বেড়ে যেতে পারে তেলের দাম। চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমে যার প্রভাব পড়বে যুক্তরাষ্ট্রেও। নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে জ্বালানির দাম বাড়িয়ে ভোটারদের অসন্তুষ্ট করার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন তারা।