জুবাইর হোসেন (রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়)
শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে ছাত্রলীগের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখার সাবেক সভাপতি গোলাম কিবরিয়া, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু, বর্তমান সভাপতি আসাদুল্লা-আল-গালিব ও সাধারণ সম্পাদক মুস্তাফিজুর রহমান বাবুসহ ৬ জনকে স্থায়ী বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে তাদের ছাত্রত্ব না থাকলে সনদ বাতিল হবে বলে জানান কর্তৃপক্ষ।
শৃঙ্খলা উপ-কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে ১১ ডিসেম্বর উপাচার্য প্রফেসর সালেহ্ হাসান নকীবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ডিসিপ্লিনারি বোর্ডের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে শাস্তি প্রদানের সুপারিশ করা হয়।
এছাড়া গণিত বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জয়ন্ত কুমার রায় ও হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থা বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের মো. মিশকাত হাসানকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। ১২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের ৫৩৫তম সভায় ঐ সুপারিশকৃত শাস্তি অনুমোদন করা হয়।সমাজকর্ম বিভাগের মো. শামীম রেজা, মো. আব্দুল্লাহ আত তাসরীফ , মিনহাজুল ইসলাম ও মুজাহিদ আল হাসান এবং আরবি বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আরিফুল ইসলামকে ২ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
এছাড়াও সমাজকর্ম বিভাগের আলফি শাহরিন আরিয়ানা (আইডি-২০১২১৪৪১৫০) ও জারিফা আহনাফ ইলমা, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মো. আহসানুল হক মিলন, দর্শন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের কিশোর পালকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
সমাজকর্ম বিভাগের আনিকা আলম উষা ও মরিয়ম আক্তার শান্তাকে ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া মার্কেটিং বিভাগের অন্তর বিশ্বাসকে ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আবাসিকতা বাতিল করা হয়েছে ১৩ জনের। তারা হলেন আইন বিভাগের তাজরীন আহমেদ খান মেধা, চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগের মোছা. আশা খাতুন, ইংরেজি বিভাগের নবনীতা বিশ্বাস, ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের নুসরাত জাহান পাপড়ি, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের নূর-ই-জান্নাত কথা ও ফারিনা জামান মীম, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের লিমা খাতুন, সংস্কৃত বিভাগের বাবলী আক্তার, নৃবিজ্ঞান বিভাগের জাফরিন খান প্রিয়া, চারুকলা বিভাগের বাবলী ইসলাম নিঝুম, লোকপ্রশাসন বিভাগের রাইতাহ ইসলাম, সমাজকর্ম বিভাগের কাজী উর্বী ইয়াসমিন রূপ, ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের আফ্রিদা বিনতে ইকবাল।
মুচলেকা দিতে হবে ৫ জনকে। তারা হলেন ফোকলোর বিভাগের শামীমা ইয়াসমীন জীবন, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের নাছরিন আক্তার নেহা, ইতিহাস বিভাগের তানজিনা আক্তার, চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগের মোছা. হুমায়রা আক্তার ও চারুকলা বিভাগের মোছা. তামান্না তাসনীম অরিত্রা।
এছাড়া ৫ জন শিক্ষার্থীকে প্রাথমিক পর্যায়ে প্রমাণিত অপরাধের জন্য শান্তি প্রদান করা হলেও অধিকতর তদন্ত সাপেক্ষে পুনরায় তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। তারা হলেন সংস্কৃত বিভাগের বাবলী আক্তার, নৃবিজ্ঞান বিভাগের জাফরিন খান প্রিয়া, চারুকলা বিভাগের বাবলী ইসলাম নিঝুম, লোকপ্রশাসন বিভাগের রাইতাহ ইসলাম ও দর্শন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের কিশোর পাল।