বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি, রাবি:
সবুজ আর হলুদের মিতালিতে পরিপূর্ণ সরিষা ক্ষেত। যেখানে রয়েছে চোখ জুড়ানো অপার সৌন্দর্যের সমারোহ। সরিষা ক্ষেতের ওপর ভেসে থাকা কুয়াশা সকালবেলার প্রকৃতিকে মনোমুগ্ধকর করে তোলে। প্রাকৃতিক এ সৌন্দর্য অবলোকনে ভারাক্রান্ত মনটিও যেন আনন্দে ভরে উঠবে।
হলুদ-সবুজের মিতালির দেশে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) নানা ভঙ্গিমা ধারণ করে। সরিষা ক্ষেতে নানা প্রজাতির মাছি-মৌমাছি ও প্রজাপতির আনাগোনার শ্রেষ্ঠ স্থানও বলা চলে। সকালের সূর্যের ছোঁয়া পেতে গ্রামের নানা বয়সীরা সরিষা ক্ষেতের পাশে বসে থাকে।রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বদ্ধ্যভূমি যাওয়ার পথের সরিষা ক্ষেতে গিয়ে এসব দৃশ্য দেখা যায়।
মৌমাছি মৌমাছি, কোথা যাও নাচি নাচি- ‘নবকৃষ্ণ ভট্টাচার্যের’সেই কবিতার মতো মধু সংগ্রহে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে মৌমাছির দল। পুরোদমে তারা মধু সংগ্রহে সময় পার করছে। মনের অগোচরে তারা সরিষা ক্ষেতে এসে লুকোচুরি খেলছে। এর মাঝে যখন তারা হাঁপিয়ে যায় তখন নিরিবিলি হয়ে ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে। মধু সংগ্রহ করে আবার তারা উড়ে যায় আপন নীড়ে। একই সঙ্গে সরিষা ক্ষেতে নানা প্রজাতির মাছি ও প্রজাপতির আনাগোনা অবিরত থাকে। বাদ যায় না পাখিরাও।
সরিষা ক্ষেত দেখতে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী সাদিয়া আক্তার বলেন, শীতের সময়ে বধ্যভূমি যেন হলুদের ছোয়ায় ছড়িয়ে থাকে সরিষা ফুল দিয়ে। সবুজ ও হলুদ রঙের মিশ্রনে যতদূর চোখ যায়,সরিষা ফুল মৃদু হিমেল হাওয়ায় দুলতে থাকে। অপরূপ এ সৌন্দর্য উপভোগ করতে বহিরাগতরা ভীড় জমায়।
তিনি আরও বলেন, তবে বর্তমানে সৌন্দর্য উপভোগ করতে এসে অনেকেই ইচ্ছা ও অনিচ্ছায় ফুল ছিড়ে ফেলে যা অনুচিত।যান্ত্রিকতার যুগে কার না ইচ্ছে করে একখণ্ড হলুদের মাঝে হারিয়ে যেতে। কথায় আছে,”আপনি যখন একটা ফুলকে পছন্দ করেন তখন গাছ থেকে ছিড়ে ফেলেন আর যখন ফুলকে ভালোবাসেন তখন যত্ন করে পানি দিয়ে বড় করেন”।প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অবশ্যই উপভৌগ্য তবে এর ক্ষয়-ক্ষতি কাম্য নয় ।
বধ্যভূমির সরিষা ক্ষেতের সৌন্দর্যের ছবি তুলতে আসা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী ঐশ্বর্য বিশ্বাস বলেন,সরিষা ক্ষেত দেখতে খুব সুন্দর। ফুলের ঘ্রাণ বেশ মনোমুগ্ধকর। এ জন্য এখানে বন্ধুকে নিয়ে ছবি তুলতে এসেছি। এই জায়গায় বিভিন্ন মৌসুমে নানা প্রজাতির ফসলের চাষাবাদ হয়। সেসব ফসলের ক্ষেত দেখতেও ভালো লাগে। তাই মাঝে মাঝে এখানে আসি।