জুবাইর হোসেন( রাবি প্রতিনিধি)
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষক-কর্মকর্তা–কর্মচারীর সন্তানদের জন্য বরাদ্দকৃত পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা।
এসময় শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের উদ্দেশ্য বলেন, পোষ্য কোটা সম্পূর্ণ বাতিল না হওয়া পর্যন্ত কঠোর আন্দোলন করে যাবেন।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুর ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের পাশে পোষ্য কোটার সমাধি চত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় শিক্ষার্থীরা “বাপের কোটা নিপাত যাক, মেধাবীরা সুযোগ পাক”, “কোটা না মেধা, মেধা মেধা”, তুমি কে? আমি কে? মেধাবী, মেধাবী”, “জেগেছে রে জেগেছে ছাত্রসমাজ জেগেছে”, “লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে”, “আবু সাঈদ-মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ”, “রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়”, সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, “পোষ্য কোটা বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বিভিন্ন ধরনের বাহানা দেখাচ্ছে। আমাদের সামনে বিভিন্ন ধরনের যুক্তি উপস্থাপন করছে। অথচ জুলাইয়ে আমাদের পাশে বসে তারা রাষ্ট্র সংস্কারের ডাক দিয়েছিলেন। আপনাদের যুক্তির ভ্যালিডিটি এই ২৪ এর গণআন্দোলনের কাছে টিকতে পারবে না। আপনাদের মধ্যে জুলাইয়ের চেতনা থাকলে এই পোষ্য কোটার মতো অযৌক্তিক কোটার পক্ষে আপনারা যেতে পারতেন না।”
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মেশকাত মিশু বলেন, “দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জন করার পর পোষ্য কোটার মতো একটা অযৌক্তিক কোটা বাতিল করার জন্য আমাদের আন্দোলনে নামতে হবে এর জন্য আমরা লজ্জিত। জুলাই বিপ্লবে দেড় হাজারের অধিক শিক্ষার্থীর আত্মত্যাগ ও বিশ হাজারের বেশি ভাই-বোনের রক্ত এবং অঙ্গহানির বিনিময়ে অর্জিত নতুন বাংলাদেশে কোন অযৌক্তিক কোটা থাকতে পারে না।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী উম্মে সালমা মানববন্ধনের সাথে সমর্থন প্রকাশ করে বলেন, “আবু সাঈদ-মুগ্ধের মায়েদের কান্নার শব্দ এখনো আমাদের কানে আসে। আমি সবসময় মেধাবীদের সাথে থাকতে চাই। পোষ্য কোটার মাধ্যমে আর কোনো স্বৈরাচারের জন্ম আমরা হতে দিব না। পোষ্য কোটা নিপাত না যাওয়া পর্যন্ত আমি শিক্ষার্থীদের পাশে থাকতে চাই।”