নিউজ ডেস্ক:
রাজশাহী মহানগরীর সোনাদীঘির মোড়। হাঁটু পানি জমে থাকায় ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা সড়ক ছেড়ে ফুটপাতে। নগরীর উপশহর এলাকা। অধিকাংশ অভিজাত পরিবারের বাস এখানে। হাঁটু পানি মাড়িয়ে তাদের যাতায়াত করতে হচ্ছে। আজ বুধবারের দৃশ্য এটা।
মঙ্গলবার রাত ১টা ২০ মিনিট থেকে টানা বৃষ্টিপাতে রাজশাহীতে ভেসে গেছে রাস্তা-ঘাট। নিম্নাঞ্চলের বাড়ি-ঘরে পানি উঠেছে। বৃষ্টিপাতের কারণে পানিমগ্ন হয়ে পড়েছে নগরীর বিভিন্ন এলাকা। প্লাবিত হয়েছে পদ্মার তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল।
বৃষ্টিপাতে নগরীর কোর্ট এলাকা, বুলনপুর, হড়গ্রাম মতিহারের বিভিন্ন মহল্লা ও নগরীর অভিজাত এলাকা হিসেবে পরিচিত উপশহর এলাকার বিভিন্ন সড়কে হাটু পানি জমেছে। নগরীর বেশিরভাগ এলাকায় পানি থৈ থৈ করছে। ফলে দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে নগর জীবন। সাহেববাজার জিরোপয়েন্টেও ছিল হাঁটু পানি।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিস জানায়, এ বছরের রেকর্ড বৃষ্টিপাত এটি। বুধবার দুপুর ১টা পর্যন্ত রাজশাহীতে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১১৪ দশমিক ৪ মিলিমিটার। মঙ্গলবার রাত ১ টা ২০ মিনিট থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে নগরীর উপশহর, আরএমপির সদর দফতর, বিনোদপুর, মতিহার, বুধপাড়া, ডাশমারী, কাজলা, লক্ষ্মীপুর, ডিঙ্গাডোবা, গুড়িপাড়া, মহিষবাথান, সিপাইপাড়া, ভদ্রাসহ বিভিন্ন এলাকার সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। কোথাও কোথাও হাঁটু থেকে কোমরপানি জমে গেছে।
নগরীতে গত ৫ বছরে এমন জলাবদ্ধতা ছিল না। উপশহর এলাকার সেকেন্দার আলী জানান, অভিজাত এলাকায় বসবাস করেও তাদের হাঁটু পানি মাড়িয়ে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে। রাসিকের ড্রেনগুলো সচল না থাকায় পানি নামছে না। রাসিকের কর্মচারীরা আন্দোলনে থাকায় গত চারদিন ধরে তারা কাজ করছেন না। ফলে ভোগান্তি আরও বেড়েছে মানুষের।
রাসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মো. মামুন জানান, জলাবদ্ধতা দূর করতে কয়েকদিন আগেই ড্রেনগুলো পরিষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু বৃষ্টিপাত বেশি হওয়ায় এবং পদ্মায় পানি বেড়ে যাওয়ায় পানি নামতে সময় লাগছে।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম জানান, এ বছরের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এমন বৃষ্টিপাত আরও একদিন থাকতে পারে।