রাজশাহী ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস’স এসোসিয়েশন অব চুয়াডাঙ্গা (রুসাক) এর আয়োজনে নবীনবরণ ও বিদায় অনুষ্ঠান ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার বেলা ১১ টার সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী ভবনের সিসিডিসি গ্যালারিতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন রাজশাহী ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস’স এসোসিয়েশন অব চুয়াডাঙ্গা (রুসাক)।
রুসাকের সভাপতি শরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট সমাজসেবক আলহাজ্ব শরীফুজ্জামান শরীফ। বিশেষ অতিথি ছিলেন রুসাকের প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক ও ডাচ বাংলা ব্যাংক পিএলসির সিনিয়র সেলস ম্যনেজার আহসান কবির, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের অফিসার ও রুসাকের সাবেক সভাপতি মো.রাসেল, রুসাকের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও স্বপ্ন-পূরণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কোচিংয়ের পরিচালক মোহাম্মদ ইসরাফিল আলম,রুসাকের সাবেক সভাপতি আব্দুল জব্বার নয়ন,রুসাকের সাবেক সহ-সভাপতি মোছা.আসমা খাতুন, রাজশাহী কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবু জোহা মো. জাস্টিসুল হায়দার, রুয়েটের গ্লাস এন্ড সিরামিক ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড.হুমায়ুন কবির, দৈনিক সময়ের সমীকরণ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক নাজমুল হক স্বপন, চুয়াডাঙ্গা জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি এহসানুল হক স্বরাজ, চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক আমান উল্লাহ আমান, নাগরিক টিভির চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক হুসাইন মালিক,আলমডাঙ্গা উপজেলার গাংনী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউর রহমান রেজু প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাধারণ-সম্পাদক আলহাজ্ব শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন- ছাত্র রাজনীতি করতে করতে আমার যে এ্যামবিশন ছিলো আমি সেই জায়গায় এসে পৌছিয়েছি। তাই ছাত্রদের যেকোনো বিষয়ে আমি দূর্বল অনেকটাই। আমরা এক সময় নবীন হিসেবে গিয়েছিলাম আমাদেরকেও আমাদের বড় ভাইয়েরা বরণ করে নিয়েছিলো। এই ছাত্র বয়সেই আমার রাজনীতির হাতেখড়ি। এই ছাত্র জীবনে আমি অনেক কিছু শিখেছি, অনেক কিছু অর্জন করেছি। কিভাবে একটা মানুষের পাশে থাকতে হয়, কিভাবে উপকার করতে হয়, কিভাবে একটা ছাত্রের সুখে-দুঃখে পাশে থাকতে হয় তা আমি এই ছাত্র জীবনেই শিখেছি। এই ছাত্র বয়সেই আমার সবকিছুর শুরু। সেখান থেকেই প্রচুর ঘাত-প্রতিঘাতের পর একটা জায়গায় এসে পৌছিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, ২০১৬ সাল থেকে এই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চুয়াডাঙ্গা জেলার ছাত্রদের সংগঠন রুসাকে যুক্ত আছেন তারা পড়াশোনা শেষ করার পর চুয়াডাঙ্গাতে ফিরেও এভাবেই একে অপরের পাশে থাকবেন, মাঝে মাঝেই সেমিনার করবেন। সুখে ,দুঃখে,বিপদে সবাই এক থাকবেন।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দৈনিক সময়ের সমীকরণ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক নাজমুল হক স্বপন বলেন- এখন ডিসেম্বর মাস ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের পর এই ডিসেম্বর মাসেই আমরা স্বাধীন হয়েছিলাম। আবার ২৪ শে ছাত্র জনতার দীর্ঘ ১৫-১৬ বছরে সৈরচার সরকার বাংলাদেশের সামাজিক, রাজনৈতিক,অর্থনৈতিক, গণতান্ত্রিক সকল কিছু ধ্বংস করার পর এই তরুণ প্রজন্মের নেতৃত্বে এক অভাবনীয়ও বিপ্লব সংগঠিত হয়েছে। একাত্তর থেকে চব্বিশ পর্যন্ত যারা দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন। তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।
তিনি আরও বলেন,আগামী দিনে শুধু বাংলাদেশ না সারা পৃথিবীর নেতৃত্ব দেবে এই তরুণরা। বাংলাদেশের জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি তরুণ, যাদের বয়স ৩০ এর নিচে। এই তরুণদের হাতেই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। আপনারা জানেন আমরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে প্রবেশ করেছি। এখন সব কিছুই প্রযুক্তি নির্ভর,আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। এজন্য আমাদেরকেও প্রযুক্তি নির্ভর জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি এই প্রজন্মই আগামী সমাজের নেতৃত্ব দেবে। শুধু বাংলাদেশেকে নয় আমাদের নিজ জেলা চুয়াডাঙ্গাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আপনারা এই তরুণ প্রজন্ম স্মারথী হবেন সেটাই প্রত্যাশা।