নিউজ ডেস্ক:
সাক্ষী না হয়েও সাক্ষ্য দিতে গিয়ে রাজশাহীর একটি আদালতে হাতেনাতে ধরা পড়েছেন এক ব্যক্তি। এ সময় আদালত ওই ভুয়া সাক্ষীকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। সোমবার বিকেলে রাজশাহীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত-৩ এ এই ঘটনা ঘটে।
দণ্ডপ্রাপ্ত ভুয়া সাক্ষীর নাম দেলসুর রহমান (৪০)। তিনি জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার কাঁঠালবাড়িয়া গ্রামের মৃত নূরুল ইসলামের ছেলে। সন্ধ্যায় দেলসুরকে আদালতের হাজতখানা থেকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গোদাগাড়ী থানার বিচারাধীন একটি মামলায় বাদীপক্ষের তিন নম্বর সাক্ষী মুকুল আলী পরিচয় দিয়ে কাঠগড়ায় ওঠেন। এরপর তিনি জবানবন্দি দিতে শুরু করেন। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী হাবিবুর রহমান তাকে জেরাও শুরু করেন। একপর্যায়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দাবি করেন. কাঠগড়ায় উপস্থিত ব্যক্তি সাক্ষী মুকুল নয়, তিনি অন্য কেউ। এ সময় আদালত তাকে যাচাই-বাছাইয়ের নির্দেশ দেন। একপর্যায়ে ভুয়া সাক্ষী দেলসুর ধরা পড়ে যান। এ সময় তিনি নিজের অপরাধ স্বীকার করে আদালতের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। তবে আদালত তার বিরুদ্ধে একটি ফৌজদারি মিস মামলা দায়েরের নির্দেশ দেন। মামলা দায়ের হলে তাৎক্ষণিকভাবে আদালতের বিচারক সাইফুল ইসলাম মামলার বিচার কাজ শেষ করেন। আদালতের সঙ্গে প্রতারণা ও বিচারকাজ বাধাগ্রস্ত করার অভিযোগে বিচারক ওই ভুয়া সাক্ষীকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, একই আদালতে গত ২৭ জুলাই চারঘাট থানার একটি মামলায় মিথ্যা সাক্ষী দিতে গিয়ে ধরা পড়েন আকতার আলী নামে এক ব্যক্তি। আদালত তাকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছিলেন।