নিউজ ডেস্ক:
রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি বাতিলের দাবিতে করা বিক্ষোভ মিছিলে হামলা চালিয়েছে নতুন কমিটির নেতাকর্মীরা। উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক কাজী ফিরোজ আহম্মেদ লনির নেতৃত্বে মিছিল বের করলে নতুন কমিটির সভাপতি আল মামুন তুষারের নেতৃত্বে একদল নেতাকর্মী মিছিলে এ হামলা চালায়।
হামলায় পৌরসভা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদকসহ বিক্ষোভকারী পাঁচ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় চারঘাট বাজারে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তখন বাজারের ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষ ছোটাছুটি শুরু করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত ৬ জুলাই আল মামুন তুষারকে সভাপতি এবং রায়হানুল হক রানাকে সাধারণ সম্পাদক করে কেন্দ্র থেকে চারঘাট উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। কিন্তু ওই কমিটির সভাপতিসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ‘বিবাহিত’, ‘অছাত্র’ এবং ‘বয়স নেই’ এমনকি ‘ছাত্রলীগের সদস্য নন’ এমন ছাত্রদের নতুন কমিটিতে স্থান করে দেওয়ার অভিযোগ উঠে। এসব অভিযোগে পৌরসভাসহ ছয়টি ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মিলে ১৩ নেতাকর্মী সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এক সঙ্গে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। এরই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক কাজী ফিরোজ আহম্মেদ লনির নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
মিছিলটি চারঘাট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্ত্বর থেকে শুরু হয়ে চারঘাট বাজার প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা চত্ত্বরের দিকে যাবার পথে নতুন কমিটির সভাপতি আল মামুন তুষারের নেতৃত্বে একদল নেতাকর্মী দেশীয় অস্ত্রসহ হামলা চালায়। এতে নিমপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ফিরোজ, ইউসুফপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সুজন, ছাত্রলীগ কর্মী শাওন ও শিমুলসহ আরও এক কর্মী আহত হন।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক কাজী ফিরোজ আহম্মেদ লনি বলেন, আমরা ছাত্রলীগের কমিটির বিরুদ্ধে নই। তবে কমিটিতে বিবাহিত, অছাত্র, বয়স নেই এমনকি ছাত্রলীগের সদস্য নয় এমন ছেলেদের নতুন কমিটিতে স্থান দেওয়ার বিরুদ্ধে। আমাদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিলে নতুন কমিটির সভাপতি মামুনের নেতৃত্বে লোহার রড, লাঠিসোঠা নিয়ে হামলা চালিয়ে পাঁচ জন নেতাকর্মীকে আহত করা হয়েছে।
তবে ছাত্রলীগের নতুন কমিটির সভাপতি আল মামুন তুষার বলেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ও সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শ্লোগান দেওয়ায় ছাত্রলীগের ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল লক্ষ্য করে ধাওয়া করেছে। এতে কেউ পড়ে গিয়ে আহত হতে পারে। কাউকে মারপিট করা হয়নি।
চারঘাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারণ চন্দ্র বর্মণ বলেন, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।