নিউজ ডেস্ক:
রাজধানীর আদাবরে মো. সজল (১৫) নামের এক কিশোরকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। সে স্থানীয় একটি দর্জির দোকানে কাজ করত। গতকাল রোববার বিকেলে সজলের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাতে আদাবর ৬ নম্বর রোডে বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা দিচ্ছিল সজল। এ সময় ওই এলাকার কয়েকজনের একটি গ্রুপ এসে দুই গ্রুপের পুরনো দ্বন্দ্ব মিটিয়ে ফেলার প্রস্তাব দেয়। তখন সজল বলে, বড় ভাইরা এ দ্বন্দ্বের সমাধান করবেন। এ কথা বলার পর ওই গ্রুপের লোকজনের সঙ্গে হাতাহাতি ও মারামারি হয়। এক সময় তারা সজলকে হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। সজলের মাথা, হাত, পাসহ শরীরে বিভিন্ন স্থানে জখম হয়। রাতেই তাকে বাসায় নিয়ে আসে পরিবারের লোকজন। রোববার সকাল ১০টার দিকে শেখেটেকের বাসায় সজল মারা যায়।
নিহতের ভাই মনির জানান, একই এলাকার হিরা, আল আমীন, রাশেদ, মামুনদের একটি গ্রুপ আছে। সজলদের গ্রুপের সঙ্গে তাদের দ্বন্দ্ব চলছিল। কিছুদিন আগে ওই দুই গ্রুপের মধ্যে ‘সিনিয়র-জুনিয়র’ বিষয়ে দ্বন্দ্ব হয়। স্থানীয় ‘বড় ভাই’রা সে সময় এর সামাধান করে দেয়। এরপরও তারা শনিবার রাতে হামলা করে।
আদাবর থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মেহেদি হাসান বলেন, এ ঘটনায় কারা জড়িত তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ বসে নেই।