নিউজ ডেস্ক:
রমনা বটমূলে বোমা হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া বিস্ফোরক আইনের মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ হয়নি।
বৃহস্পতিবার মামলাটিতে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন কোনো সাক্ষী ট্রাইব্যুনালে হাজির না হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ সাক্ষ্য গ্রহণ পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করে।
ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নুরুদ্দিন সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ২ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন।
মামলাটিতে এ পর্যন্ত ২৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল। মামলাটিতে মুফতি আব্দুল হান্নানসহ ১৪ জন আসামি।
বৃহস্পতিবার হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি আব্দুল হান্নানসহ কারাগারে আটক আসামিদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
২০০৯ সালের ১৬ এপ্রিল মামলাটিতে তৎকালীন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ এএনএম বশির উল্লাহ অভিযোগ গঠন করেন। ওই সময় বিস্ফোরক আইনের ৩ ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৬ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়। তাই ৩ ধারার সঙ্গে ৬ ধারা যুক্ত করে এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৬ ধারার প্রয়োজনীয়তা না থাকায় তা বাদ দিয়ে অভিযোগ গঠন করা হয়।
এই ঘটনায় হত্যা মামলায় একই সংখ্যক আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হয়ে ২০১৪ সালের ২৩ জুন রায় ঘোষণা করেন আদালত। রায়ে মুফতি হান্নানসহ আটজনের মৃত্যুদণ্ড এবং অপর ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আসামিরা হলেন- মুফতি হান্নান, আরিফ হাসান সুমন, শাহাদত উল্লাহ ওরফে জুয়েল, হাফেজ মাওলানা আবু তাহের, মাওলানা আ রউফ, মাওলানা আকবর হোসাইন ওরফে হেলালউদ্দিন, আলহাজ্ব মাওলানা মো তাজউদ্দিন, মাওলানা সাব্বির ওরফে আব্দুল হান্নান সাব্বির, মাওলানা শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদ, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, মাওলানা আবু বকর ওরফে হাফেজ সেলিম হাওলাদার, মুফতি শফিকুর রহমান, হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া ও মুফতি আব্দুল হাই।
২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলায় ১০ জন নিহত ও বহু লোক আহত হয়। ২০০৮ সালের ৩০ নভেম্বর এ ১৪ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে সিআইডি।