নিউজ ডেস্ক:
দেশের মোবাইল অপারেটর কোম্পানিগুলোর মধ্যে সম্প্রতি রবি ও এয়ারটেল একীভূত হয়েছে। আর রবি ও এয়ারটেল একীভূতিকরণে পাঁচ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে বলে জানিয়েছেন একীভূত অপারেটর দুটির এক শীর্ষ কর্মকর্তা।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে সম্প্রতি প্রাক-বাজেট আলোচনায় মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর ব্যবসায়িক সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে দাবি-দাওয়া উপস্থাপন করেন রবির নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহেদ আলম।
এ সময় ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা অন্তত পাঁচ হাজার কোটি টাকা খরচ করে দুই অপারেটরকে একীভূত করেছি। এরপরও এর সুফল ঘরে তুলতে পারছি না। ’ মূলত বাজারে টিকে থাকার জন্য গ্রাহক বিচারে তৃতীয় ও চতুর্থ অপারেটর এক হয়ে ব্যবসা পরিচালনা করবে বলেও জানান তিনি।
এত টাকা খরচের পরেও এখন পর্যন্ত তাদের একীভূতিকরণের প্রক্রিয়া শেষ হয়নি-ফলে এ বিষয়ক চূড়ান্ত সার্টিফিকেট ইস্যু করেনি টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন। অথচ গত অক্টোবর থেকে একত্রে ব্যবসা পরিচালনা শুরু করেছে অপারেটর দুটি। যদিও ভিন্ন ভিন্ন নামে এখনো দুটি নম্বর বাজারে রেখেছেন তারা।
এনবিআরের ওই প্রাক বাজেট বৈঠকে আরো জানানো হয়, ২০০৯ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত এয়ারটেল চার হাজার ৮৩৮ কোটি টাকা লোকসান গুনেছে। ২০০৯ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত লাভ লোকসান মিলিয়ে রবির মুনাফা হয়েছে এক হাজার ১২ কোটি টাকা।
বিটিআরসির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা রবির কার্যকর সংযোগ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছিল দুই কোটি ৭০ লাখ ১৭ হাজার। ওই পরিসংখ্যানে এয়ারটেলের সংযোগ দেখানো হয়েছে ৮২ লাখ ১৯ হাজার। এ দুই অপারেটরের মোট সিমের সংখ্যাও সাড়ে তিন কোটির বেশি হচ্ছে না। এয়ারটেল মাঝে একবার ২০১৫ সালের নভেম্বরে কোটি সংযোগ পেরুলেও খুব বেশি সময় সে স্থান ধরে রাখতে পারেনি।