গঙ্গাচড়া মডেল থানার ওসি’র নেতৃত্বে থানা পুলিশের একটি চৌকস দল তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘাতকের অবস্থান সনাক্ত করে বুধবার (৫ জুন) সন্ধ্যায় উপজেলার বড়বিল ইউনিয়নের বাগপুর এলাকা থেকে মাহবুব হাসান রাহাত ওরফে বল্টুকে গ্রেফতার করেন।জানা যায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করেন। গ্রেফতার হওয়া মাহবুব হাসান রাহাত ওরফে বল্টু উপজেলার আলমবিদিতর ইউনিয়নের ল্যাংড়ার বাজার এলাকার মৃত মোখলেছার রহমানের ছেলে।এর আগে গত মঙ্গলবার (৪ জুন) দুপুরে উপজেলার আলমবিদিতর ইউনিয়নের ল্যাংড়ার বাজার এলাকায় স্বামীর বাড়ি থেকে শুকতারা বেগমের (৩৫) গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় ১৬ বছর আগে শুকতারার সঙ্গে বল্টুর বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছেলে সন্তান রয়েছে।বল্টুর মা ও তার ছেলে রংপুরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান। বাড়িতে তারা স্বামী-স্ত্রী দুজনে ছিলেন।মঙ্গলবার (৪ জুন) সকাল দশটার দিকে বল্টু একা বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। এরপর দীর্ঘসময় ধরে শুকতারা বাড়ির বাইরে বের না হওয়ায় প্রতিবেশীরা তার খোঁজে ঘরে ঢুকে বিছানায় গলা ও হাতকাটা অবস্থায় তাকে পড়ে থাকতে দেখেন।
খবর পেয়ে গঙ্গাচড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেন।মাহবুব হাসান রাহাত ওরফে বল্টু মাদকাসক্ত ছিলেন। তিনি আলমবিদিতর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মনছুর আলী সরকারের নাতি। এঘটনায় বুধবার (৫ জুন) সকালে নিহত গৃহবধূ শুকতারা বেগমের ভাই রাহাত উদ্দীন সাগর বাদী হয়ে গঙ্গাচড়া মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।