নিউজ ডেস্ক:
ইরাকের উত্তরাঞ্চলের লালিশ গ্রামটিকে এত বেশি পবিত্র মনে করা হয় যে এখানে কেউ জুতা পরেন না। লালিশের প্রাণকেন্দ্রে ছোট্ট একটি গুহার মধ্যে রয়েছে জলাধার। লালিশের মাটি মিশ্রিত এই জলাধারের পানি জন্ম, মৃত্যু, বিয়ের বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতার জন্য ব্যবহার করা হয়।
সম্প্রতি এক বিকালে কিছু নারীদের পবিত্র জলাধারের কাছে নীরবে বসে থাকতে দেখা যায়। এরা সকলেই জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের যৌনদাসী মার্কেট থেকে ফিরে এসেছেন। লালিশ গ্রামের ওই গুহার ভেতরে তারা মাথা, মুখ ও শরীর ধুয়ে প্রার্থনা করছিলেন।
সেই সকল নারীর মধ্যে একজন ২৮ বছর বয়সী তরুণী নুর (ছদ্মনাম)। আইএস জঙ্গিদের হাতে ১৫ মাসের বন্দী জীবনের পর বর্তমানে তিন সন্তানসহ মানসিকভাবে অসুস্থ নুর। তিনি ক্ষীণ কণ্ঠে বলেন, ‘আমাকে একাধিকবার বিক্রি করা হয়েছিল। সেখানে আমার চেয়েও ভয়াবহ জীবন যাপন করছেন অসংখ্য নারী। আমি অসংখ্যবার আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু আমার সন্তানদের জন্য জীবন চালিয়ে যাচ্ছি এখনো।
তৃতীয় সন্তান পেটে আসার সময় পুরো পরিবারের সঙ্গে তাকেও তুলে নেয়া হয়েছিল। তৃতীয় সন্তানের জন্ম দেন একটি বদ্ধ ঘরে। সেই স্মৃতি মনে করে নূর বলেন, ‘তারা আমাকে গোসল করিয়েছিলেন। সেই সময় শীত থাকার কারণে তারা আমাকে কয়েকটি কম্বল দিয়ে মুড়িয়ে রেখেছিলেন। দীর্ঘ সময় পর বয়স্ক এক নারী আমাকে বলেন, জেগে ওঠো, তুমি ছেলে সন্তান জন্ম দিয়েছো। আমি কান্না করছিলাম কারণ আমি কিছুই বুঝতে পারছিলাম না।