নিউজ ডেস্ক:
ক্যানসার একটি মরণব্যাধি অসুখ। সম্প্রতি চারদিকে শুধুই চলছে ক্যানসার সতর্কবাণী।
তাইতো ক্যানসার রুখতে এটা খেয়ো না, সেটা খেয়ো না। এটা খেলে ক্যানসার হয়। ওই খাবারে ক্যানসারের আশঙ্কা থেকে যায়। কী থেকে যে আসলে ক্যানসার হয়, আমরা বোধহয় নিজেরাও জানি না সঠিকভাবে।
যে কারণে সবসময় ক্যানসার ভীতি কাজ করে আমাদের মধ্যে। তবে, আমরা খাদ্যতালিকায় এমন কয়েকটি খাবার রাখতেই পারি, যা ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। নীচে এমনই পাঁচটি সুপার ফুডের কথা উল্লেখ করা হল। এই সব খাবারে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যানসারের ঝুঁকি তো কমায়ই পাশাপাশি শরীরও চনমনে রাখে।
১. কাঁচা হলুদ
স্বাস্থ্যের জন্য আক্ষরিক অর্থেই কাঁচা হলুদের কোনও তুলনা হয় না। ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য তো করেই, বাড়িয়ে তোলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। সাধারণ সর্দিকাশি থেকে প্রদাহ, সবেতেই দুর্দান্ত কাজ দেয়। স্মৃতিশক্তি সতেজ রাখে। কোষকে রক্ষা করে।
২. টমেটো
গবেষকদের দাবি, নিয়মিত টোম্যাটো খেলে প্রস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি ৫০% কমে যায়। তার কারণ, এর মধ্যে রয়েছে উচ্চ মাত্রায় লাইকোপেন। রান্নায় তো দেবেনই, তেমন হলে ডিনারের প্লেটেও গ্রিলড টোম্যাটো রাখুন।
৩. ব্লুবেরি ও রাস্পবেরি
সর্বত্র পাওয়া যায় না-বলেই হয়তো আমাদের এখানে ব্লুবেরি ও রাস্পবেরি খাওয়ার চল তেমন ভাবে নেই। কিন্তু ক্যানসারবিরোধী গুণ থাকায় ব্লুবেরি ও রাস্পবেরির কদর কম নয়। বিশেষত মেয়েদের জন্য এই দুই ফল অন্তত উপকারী। জরায়ু ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। ফাইটোকেমিক্যাল থাকার কারণেই এই ফলের রং এত গাঢ়। এই উপাদানটাই ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অনুঘটক হিসেবে কাজ করে।
৪. ডার্ক চকোলেট
ডায়েটের কথা ভেবে যাঁরা চকোলেট ছুঁয়েও দেখেন না, তাঁরা স্বাস্থ্যের খাতিরে নিশ্চিন্ত মনে ডার্ক চকোলেট খেতে পারেন। কারণ, ডার্ক চকোলেটে রয়েছে ভরপুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। হার্টকে ভালো তো রাখেই সেইসঙ্গে আপনার মেজাজও ফুরফুরে রাখে। আরও গুরুত্বপূর্ণ হল ক্ষতিগ্রস্ত ক্যানসার কোষগুলোর সঙ্গে লড়াই করে এই অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট।
৫. কফি ও গ্রিন টি
দেখা গিয়েছে কফি ও গ্রিন টি-র মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। তাই গোটা দিনে কয়েক বার নিশ্চিন্তে কফি বা চায়ের কাপে চুমুক দিতেই পারেন।