নিউজ ডেস্ক:
বর্তমানে ইন্টারনেটের জগতে আমাদের মনে এমন একটা ধারণা বদ্ধমূল হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, নেটে পাওয়া যাবতীয় তথ্যই বুঝি সত্য! অনেক সময় আমরা জেনে-বুঝেও ভিত্তিহীন ও আজগুবি তথ্যসমূহ বিশ্বাস করে বসি! সম্প্রতি বেশ কিছু মিথ্যা তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার হতে হতে এমন আকার নিয়েছে যে, যা এখন মিথ্যা বলাই যেন দায়! তেমনই কয়েকটির উদাহরণ দেওয়া হলো-
এক. বার্কলের চিকিৎসক হার্ডিন জোনস বলেছিলেন, ক্যান্সারে মানুষ মারা যান না, মারা যান কেমোথেরাপিতেই! তিনি মারা যান ১৯৭৮ সালে। তার পরেও তার এই ভুল বক্তব্য ইন্টারনেটে ক্রমান্বয়ে চলে আসছে। যদিও তাঁর এই দাবি আজও প্রমাণিত হয়নি। ক্যান্সার-চিকিৎসার আধুনিক পদ্ধতি সম্পর্কে এই ভুল ধারণা কতটা ক্ষতিকারক, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
দুই. টুইটার শাট ডাউন হতে যাচ্ছে ২০১৭ সালে! সাইবারবুলিইং-এর আখড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে এই সোশ্যাল মিডিয়া। আর সে কারণেই একে আর বাঁচিয়ে রাখা যাচ্ছে না, এই গুজব আজও ছড়ায়। তবে টুইটার-কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট জানিয়েছে, এমন কোন ঘটনা ঘটেনি।
তিন. ড্যুরেক্স এক বেগুনগন্ধী কনডোম বাজারে এনেছে! যা পুরোপুরি গুজব। এটা একেবারেই একটা মার্কেটিং স্টান্ট ছিল। আসলে পাবলিককে সেফ সেক্স সম্পর্কে সচেতন রাখতেই এটি রটানো হয়েছিল।
চার. চিকেনের নামে রেড মিট চালাচ্ছে বেশ কিছু মার্কিন ফুড চেন! যা আমেরিকায় ভাইরাল হয়। বলা হতে থাকে, মাংস সরবরাহকারী সংস্থাগুলো টনে-টনে রেড মিট সাপ্লাই করছে। গল্পটা পুরোই বানানো। এটি কোন একটি সাইটে আষাঢ়ে গল্প প্রতিযোগিতায় কেউ লিখছিলেন। তার পরে কেউ সিরিয়াসলি সেটাকে প্রচার করেন।
পাঁচ. নকল বাঁধাকপি তৈরি হচ্ছে এশিয়ার কোন একটি দেশে! শুধু তা নয়, সেই সঙ্গে বাঁধাকপি তৈরির ভিডিও-ও ভাইরাল হয়ে পড়ে ইন্টারনেটে। আসল ঘটনাটি ছিল এই, ‘নকল’ বাঁধাকপিগুলো নকলই ছিল। কোন এগজিবিশনে সাজানোর জন্যই যেগুলো তৈরি করা হয়েছিল।