নিউজ ডেস্ক:
উসমানী খেলাফতের সোনালী যুগে ব্যবহৃত ঈমান ও ইসলামের ঐতিহ্যবহনকারী ঘড়ি। যে ঘড়ি শুধু সময়ই উপহার দিতো না বরং সে ঘড়ি মানুষকে ঈমানের পথে আসতে উৎসাহিত করতো। ঈমান ও আমলের দিকে আহ্বান করতো। পরকালের কথা স্মরণ করিয়ে দিতো।তাওহিদ তথা আল্লাহর একত্ববাদের দিকে আহ্বান করতো। জ্ঞান, বুদ্ধি, প্রজ্ঞা, সচ্চরিত্র, মানবতা, ন্যায়পরায়ণতাসহ যাবতীয় মানবীয় গুণাবলির প্রতিও উৎসাহ প্রদান করতো।
কারণ-
ঘড়িতে ছিলো না কোনো সময়ের মান নিয়ন্ত্রক সংখ্যা। বরং সংখ্যার স্থানে লেখা ছিল মুসলমানের ঈমান ও তাওহিদের কথা। মানুষের যাবতীয় উত্তম গুণগুলোর কথা। যে মানুষই ঘড়ির দিকে তাকাতো; তার সামনে ধারাবাহিকভাবে ভেসে ওঠতো-
>> তাওহিদের কথা;
>> সত্যবাদিতার কথা;
>> ইসলামের কথা;
>> উত্তম চরিত্রের কথা;
>> ন্যায় বিচারের কথা;
>> উত্তম কাজের কথা;
>> মানুষ ও মানবতার কথা;
>> প্রজ্ঞা ও বিজ্ঞানের কথা;
>> জ্ঞান-বুদ্ধি বিবেচনার কথা এবং
>> ইলমের কথা।
এ লেখাগুলো লেখার পেছনে উদ্দেশ্য ছিল, ঘড়ির কাঁটা যেভাবে ধীরে ধীরে আপন গতিতে এগিয়ে চলে; মানুষের দুনিয়ার আয়ুষ্কালও তেমনি একটু একটু করে শেষ হয়ে যায়।
তাই মানুষ যখন এ ঘড়িরে দিকে তাকাবে; তখন স্বাভাবিকভাবেই সে উল্লেখিত গুণগুলো নিজের জীবনে বাস্তবায়ন করার প্রয়াশ পাবে। অন্যায়, জুলুম, অত্যাচার ও অকল্যাণের পথ থেকে ফিরে আসবে। ইসলাম ও ঈমানের পথে পরিচালিত হবে।
উসমানী খেলাফতের ইসলামি অনুশাসনের সোনালী যুগের ইতিহাস ও বৈচিত্র্য ফুটে ওঠেছে এ ঘড়িতে। যা আজ শুধুই স্মৃতি।