নিউজ ডেস্ক:
এবারের আইপিএল-এ পুনের অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে মহেন্দ্র সিং ধোনিকে। আই পি এল নিলামের আবহে এটাই সবথেকে বড় প্রশ্ন এখন সবার কাছে। তবে অবশেষে জানা গেল চমকে দেওয়া সেই খবরটা। কিন্তু যে ধোনি নিজে থেকেই টেস্ট থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন, একদিনের ক্রিকেট ও টোয়েন্টি ২০ এর নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন, তাকে পুণে ফ্র্যাঞ্চাইজি এভাবে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দিল কেন এমন প্রশ্নের জবাবে ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিক সঞ্জীব গোয়েঙ্কা বলেছেন, ফ্র্যাঞ্চাইজির স্বার্থেই এই সিদ্ধান্তটা নিতে হয়েছে।
তবে সূত্রের খবর, নানা কারণে ধোনির উপর বিরক্ত ছিলেন ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্তারা। তার অন্যতম কারণ হল, ফোনে ধোনিকে পাওয়া যেত না। সঞ্জীব গোয়েঙ্কা নিজেও বেশ কয়েকবার তার সঙ্গে আলোচনা করতে গিয়েও ফোনে ধরতে পারেননি। তিনি যে ধোনিকে ফোনে পেতেন না, একথা নিজেও এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন তিনি। যিনি টাকা ঢালবেন, তিনিও যদি অধিনায়ককে না পান, তাহলে রাগ হওয়া স্বাভাবিক বিষয়।
পুণে ফ্র্যাঞ্চাইজি সূত্র হতে জানা যায়, ধোনির সঙ্গে কোনও আলোচনাই করা যেত না। যা বলার তার এজেন্টকে বলতে হত। এটা মেনে নিতে পারেনি কর্মকর্তারা। মাঠের বাইরের নানা বিষয় নিয়ে ধোনি নিজের মতামত চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। যেমন জার্সির রঙ কী হবে, লোগো কী হবে, ইত্যাদি। এই বিষয়টিকেও ভাল চোখে দেখেননি পুণের কর্মকর্তারা।
তাদের দাবি ছিল, মাঠের ভেতরটা অধিনায়ক দেখবেন। কিন্তু বাইরের দিকটা দেখবেন ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্মকর্তারা। এছাড়া বিভিন্ন ক্রিকেটারদের ব্যবহার করা নিয়েও ধোনির সঙ্গে কর্মকর্তাদের ভুল বোঝাবুঝি প্রকট হয়ে উঠেছিল।
সূত্রের দাবি, ইংল্যান্ড সিরিজ চলাকালীন ধোনি কলকাতায় এসে সঞ্জীব গোয়েঙ্কার বাড়িতে যান। তখনই তাকে কিছুটা ইঙ্গিত দেওয়া হয় কেন তাকে নেতৃত্ব থেকে সরানো হতে পারে। পরে ধোনিকে বিস্তারিতভাবে বলেন পুণের এক কর্মকর্তা। ধোনি নাকি স্বাভাবিকভাবেই মেনে নিয়েছেন সবকিছু।