নিউজ ডেস্ক:
কিছু সাধারণ ব্যাপার আছে যা আমরা সবসময়ই মেনে চলি। যেমন, অন্যের টুথব্রাশ আমরা কখনোই ব্যবহার করি না, কিংবা নিজের পানি খাওয়ার গ্লাসে অন্যকে কখনোই পানি খেতে দেই না! কিন্তু এমন আরও কিছু ব্যাপার আছে যা আমাদের সকলের মেনে চলা উচিৎ।
তবে আমরা সেগুলো মেনে চলি না। কিংবা হয়তো জানিও না। আর নিজের অজান্তেই এসকল অভ্যাস থেকে আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ি।
তবে আর দেরি না করে চলুন জেনে নেই সেই অভ্যাসগুলো সম্পর্কে।
১। অন্যের তোয়ালে এবং গামছা ব্যবহার করা
তোয়ালে এবং গামছা তৈরিই করা হয় এমনভাবে, যা মানুষের শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি শুষে নিতে পারে। যার ফলে একজনের ব্যবহৃত তোয়ালে এবং গামছা কখনোই অন্য আরেকজনের ব্যবহার করা উচিৎ নয়। আপনি হয়ত জানেনও না, আপনার যে আত্মীয় অথবা বন্ধুর ব্যবহৃত তোয়ালে অথবা গামছা থেকে আপনার চর্মরোগ হতে পারে, এটি খুবই সংক্রামক।
২। অন্যের হেডফোন অথবা ইয়ারফোন দিয়ে গান শোনা
প্রতিটি মানুষের কানের ভেতরের অংশে আলাদা এবং স্বতন্ত্র ব্যাক্টেরিয়াল ফ্লোরার সামঞ্জস্য থাকে। অন্যের ইয়ারফোন ব্যবহারের সময় অথবা আপনি নিজের ইয়ারফোন যখন আপনার বন্ধুকে ব্যবহার করতে দিচ্ছেন, তখন না জেনেই আপনি নিজের ক্ষতি করে ফেলছেন। এতে করে অনেক সময় আপনার কানের ভেতরে ইনফেকশনের সৃষ্টি হতে পারে।
৩। অন্যের লিপস্টিক এবং লিপগ্লস ব্যবহার করা
হয়তো আপনি ভুল করে আপনার লিপস্টিক বাসাতে ফেলে চলে এসেছেন। তাই অন্য কোন উপায় না দেখে আপনার বান্ধবীর লিপস্টিক ব্যবহার করছে। এটা খুবই সাধারণ একটি ঘটনা। কিন্তু যতোই সাধারণ ঘটনা এটি হোক না কেনো, এমন ধরণের কাজ করা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য কতোটা ক্ষতিকর আপনার হয়তো ধারণাও নেই! হার্পিস এর মতো রোগ খুব সহজেই ছড়াতে পারে এইভাবে অন্যের লিপস্টিক অথবা লিপগ্লস ব্যবহার করলে।
৪। অন্যের ডিওডোরেন্ট ব্যবহার করা
যদিও বলা হয়ে থাকে যে ডিওডরেন্টে এন্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকে, কিন্তু ডিওডোরেন্ট এর যে অংশটা ত্বকের সংস্পর্শে আসে সেটাতে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমিত হওয়ার সম্ভবনা অনেক বেশী। শরীরে ঘামের গন্ধ তৈরিই হয় ব্যাকটেরিয়ার কারণে। তাই অন্যের ডিওডোরেন্ট ব্যবহারের সময় এই ব্যপারটি মাথায় রাখা প্রয়োজন।
৫। অন্যের মেনিকিউর কিট এবং মেকআপ সামগ্রী ব্যবহার করা
নখের জন্যে টুইজার, নেইল ক্লিপার্স, এপিলেটর প্রভৃতি জিনিস এবং অবশ্য যেকোন ধরণের মেকআপ সামগ্রী অন্যেরাটা ব্যবহার করা থেকে এবং নিজের জিনিস অন্যকে ব্যবহার করতে দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। অনেক সময় আমরা পরিচিত কারোর অথবা বান্ধবীর ফেইস পাউডার, তাদের পাউডার পাফ দিয়েই ব্যবহার করে থাকি। যা কিনা আমাদের ত্বকের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
৬। অন্যের চুলের ক্লিপ এবং কার্লার ব্যবহার করা
আমরা অনেকেই জানি, অন্যের চিরুনি ব্যবহার করা উচিৎ নয়। ঠিক একইভাবে অন্য কারোর ব্যবহৃত চুলের ক্লিপ অথবা চুল কার্ল করার কার্লারও ব্যবহার করা অনুচিত। চুলের গোড়া তথা মাথার তালুর সংস্পর্শে আসে এমন যে কোন ধরণের জিনিসই এড়িয়ে চলা বাধ্যতামূলক। কারণ এমন সকল পণ্য ব্যবহারে অন্যের মাথার ফাংগাস অথবা উকুন আপনার চুলেও চলে আসতে পারে খুব সহজেই।
৭। ত্বকের পরিচর্যাকারী জিনিসপত্র অন্যকে ব্যবহার করতে দেওয়া বা করা
একজন মানুষের মুখের ত্বক সবচেয়ে বেশি স্পর্শকাতর। আপনার মুখের রূপ চর্চার জন্য ব্যবহৃত ব্রাশ, ম্যাসাজ রোলার অথবা স্পেশাল স্পঞ্জ এবং এমন ধরণের কোন জিনিস কোনভাবেই অন্য কাউকে ব্যবহার করতে দেওয়া ঠিক হবে না। অনেক মুখের ত্বকে ব্রণের সমস্যা থাকে অথবা এলার্জির সমস্যা থাকে। যা কিনা খুব সহজেই ছড়িয়ে পড়ে। আপনার ব্যবহৃত জিনিস যদি এমন কেউ ব্যবহার করে থাকে, যার ত্বকের সমস্যা রয়েছে তবে সেক্ষেত্রে আপনার ত্বকেও সমস্যা দেখা দিতে শুরু করবে যদি আপনি সেই সকল জিনিস ব্যবহার করে থাকেন।