নিউজ ডেস্ক:
অনেকেরই ধারণা ছিল ‘কাটাপ্পা বাহুবলী কো কিঁউ মারা’ এর উত্তর পাওয়ার পর উত্তেজনার পারদ কমবে। কিন্তু তা আসলেই হয়নি। বাহুবলীর দ্য কনক্লুশ্যন এর মুক্তি প্রায় এক মাস পার হয়ে গেল। এখনও টানটান ছবির বাণিজ্যিক সাফল্য, সিনেমাহলে এখনও উপচে পড়া ভিড়। শাড়ি থেকে জুয়েলারি, রেস্তোরাঁর মেনু থেকে বিয়ের কার্ড, সর্বত্রই জাঁকিয়ে ব্যবসা’ করছে ‘বাহুবলী ২’।
বক্স অফিসে একের পর এক রেকর্ড ভেঙে রেকর্ড তৈরি করছে এস এস রাজামৌলি ‘বাহুবলী: দ্য কনক্লুশান’। হাজার কোটি টাকার বেঞ্চমার্ক ছুঁয়ে ফেলে জায়গা করে নিল ভারতীয় সিনেমা ইতিহাসে। আট থেকে আশি, সকলের মুখে একটাই নাম ঘোরাফেরা করছে। ছবিতে প্রযুক্তি তো রয়েইছে, বাহুবলীর কাস্টিংয়ের চর্চা হচ্ছে। ছবি-সমালোচকদের প্রতিবেদনে ধরাও পড়ছে বারেবারে।
শাহরুখ, সালমান, আমিরের মত ফেভারিট তারকাদের লিস্টে ঢুকে পড়েছে প্রভাস আর তাকে নিয়ে উন্মাদনার রেশ যেন কাটছেই না নেটিজেনদের। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোর পোস্ট দেখলেই তা স্পষ্ট। কাটাপ্পা, শিবগামী বা বল্লালদেব তাদের নিয়ে মিম, জিফ, ট্রোলে ভরপুর ফেসবুক ওয়াল।
শুনলে অবাক হতে হয় এইসব চরিত্রে যারা অভিনয় করে এখন জনপ্রিয়তার শিখরে, তারা পরিচালকের দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় পছন্দ ছিল। পরিচালকের ‘ফার্স্ট চয়েস’এর অভিনেতারা নাকচ করে দেয় সেই চরিত্রগুলোকেই। দেখে নেওয়া যাক সেই অভিনেতাদের যারা হয়ত আক্ষেপ করছেন ভারতীয় ছবির ইতিহাসে সামিল না হতে পেরে।
শ্রীদেবী
এই ছবির পরিচালক এসএস রাজামৌলি শিবগামী চরিত্রটির জন্য শ্রীদেবীর সঙ্গে কথা বলেছিলেন। কিন্তু অভিনেত্রীর পারিশ্রমিক নিয়ে কোনও সমস্যা হয়, আর আলোচনা সেখানেই থেমে যায়। পারিশ্রমিক নিয়ে দু’পক্ষই একই অবস্থানে থাকেন তাই আর কথা বেশি দূর এগোতে পারেনি। অন্যদিকে শ্রীদেবীর হাতে ‘পুলি’ নামে একটি তামিল ছবির অফার পান। শেষ পর্যন্ত ওই ছবিটিতেই অভিনয় করেন তিনি। তারপর সেই চরিত্রটির অফার চলে যায় রামায়া কৃষ্ণণের কাছে৷
হৃতিক রোশন
সম্প্রতি একটি প্রতিবেদনে প্রকাশ পায়, যে রাজামৌলি একজন হিন্দিভাষী অভিনেতাকেই খুঁজছিলেন। তাই বাহুবলীর মুখ্য চরিত্রের জন্য হৃতিক রোশনই ছিল রাজামৌলির প্রথম পছন্দ। তিনি হৃতিককে ‘বাহুবলী’র জন্য চরিত্রটি অফারও করেন কিন্তু হৃতিক কোনও আগ্রহ দেখাননি। অবশেষে চরিত্রটি চলে আসে প্রভাসের কাছে, বাকিটা ইতিহাস।
জন আব্রাহাম ও বিবেক ওবেরয়
বল্লাল দেবের ভূমিকায় অভিনেতা হিসেবে জন আব্রাহামই ছিল রাজামৌলির প্রথম পছন্দ, এমনকি শোনাও যায় তাকে স্ক্রিপ্টটিও পাঠিয়ে দিয়েছিলেন রাজা। এক্ষেত্রে জনও কোনও আগ্রহ দেখাননি। পরবর্তী পছন্দ ছিল বিবেক ওবেরয়, বিবেক সেই সময়ে তার সিনেমার শুটিং নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন, তাই নাকচ করে দেন। ব্যস এই শেষ তারপর সেই চরিত্র সোজা চলে আসে রাণা ডগ্গুবতীর কাছে, বল্লালদেবের ভূমিকায় রাণাই শেষমেশ অভিনয় করেন।
মোহনলাল
মোহনলাল মলায়ালাম ছবির জনপ্রিয় মুখ। তাঁর কাছে প্রথম কাটাপ্পা চরিত্রে অভিনয়ের অফার যায়। সমালোচকদের মতে কাটাপ্পা ‘বাহুবলী’ ছবিটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। তবে মোহনলাল এই চরিত্রটিকে না জানিয়ে দেন। পরে কাটাপ্পার ভূমিকায় অভিনয় করেন সাথ্যরাজ।
সোনম কাপুর
অবন্তিকা চরিত্রে অভিনয় করার জন্য সোনম কাপুরই ছিল পরিচালকের ‘ফার্স্ট চয়েস’। কিন্তু সেটি করতে হলে বাহুবলীর জন্য টানা দুটি বছর সোনমকে এক রকম উৎসর্গই করতে হত। এটি শুনেই সোনম না বলে দেন রাজামৌলিকে।
নয়নতারা
ছবিতে দেবসেনার ভূমিকায় অভিনয়ের জন্য নয়নতারাকেই ভাবা হয়েছিল। কিন্তু তিনি চরিত্রটিকে প্রত্যাখ্যান করেন এবং তারপর ‘দেবসেনা’ চরিত্রটিতে অভিনয় করার অফার চলে যায় দক্ষিণী অভিনেত্রী আনুশকা শেট্টির কাছে, তিনি না করেননি।