অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার বা ‘আলট্রা-প্রসেসড ফুড’ স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন খাবারে ২০ ভাগ অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার থাকলে তার প্রভাব পড়ে মস্তিষ্কে। দ্রুত কমতে থাকে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা।
‘আলট্রা-প্রসেসড ফুড’ বা অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার মানে শুধু ফাস্ট ফুড নয়। বার্গার, পিৎজা কিংবা ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের বাইরে অতিরিক্ত চর্বি, শর্করা, আর্টিফিশিয়াল রং, ফ্লেভার ও স্ট্যাবিলাইজারযুক্ত খাবারও অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবারের অংশ। এছাড়া প্যাকেটজাত বিস্কুট, কেক, হিমায়িত খাবার, কোমল পানীয় অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবারের মধ্যে পড়ে।
গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণ করেন, তাদের মস্তিষ্কের কার্যকারিতা কমে যাওয়ার পরিমাণ অন্যদের তুলনায় ২৮ ভাগ বেশি। বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা কমে যাওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার সেই প্রক্রিয়ার গতি আরও বাড়িয়ে দেয়।
ব্রাজিলের ১০ হাজার মানুষের ওপর ১০ বছর ধরে গবেষণা চালানো হয়। ডা. ক্লাউদিও সুমোতোর মতে, ব্রাজিলে একজন সাধারণ মানুষের ডায়েটের ২৫ থেকে ৩০ ভাগজুড়ে থাকে ‘আলট্রা-প্রসেসড ফুড’। যার বেশির ভাগই ফাস্ট ফুড। তবে ব্রাজিলের থেকেও বাজে অবস্থায় রয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো। যুক্তরাষ্ট্রের ১৬ থেকে ৫০ বছর বয়সী নাগরিকদের ডায়েটের ৫৮ ভাগজুড়ে আছে প্রক্রিয়াজাত খাবার।
দ্য জার্নালস অব জেরোন্টোলজি একটি প্রতিবেদনে জানায়, অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত মাংস ও তেলের মাধ্যমে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ‘টাইপ টু’ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে।
অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার অতিরিক্ত চর্বি রক্তে চর্বির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে হৃদ্রোগের আশঙ্কাও দেখা যায়।
প্রতিদিনের খাবারে অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার চাইলেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। খেয়াল রাখতে হবে ফাস্ট ফুড–জাতীয় খাবার যাতে প্রধান খাদ্যাভ্যাসের অংশ না হয়ে ওঠে। এছাড়া প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসে সবুজ শাকসবজি আর ফলমূল রাখতে হবে।