বুধবার, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৫
বুধবার, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৫

যেখানে ‌মাটির ৫৫৫ মিটার গভীরে তৈরি হয়েছে যে গবেষণাগার !

নিউজ ডেস্ক:

ভূপৃষ্ঠের গভীরে কী রয়েছে তার রহস্যভেদ হয়নি এখনও। মহাকাশের অনেক তথ্যই রয়েছে বিজ্ঞানীদের কাছে।
কিন্তু ভূগর্ভ এখনও অন্ধকারে। সেই অজানা রহস্য উদ্ঘাটনে এবার ভূপৃষ্ঠের ৫৫৫ মিটার গভীরে গবেষণাগার তৈরি করলেন বিজ্ঞানীরা।

ভারতের কলকাতার সাহা ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার ফিজিক্সের বিজ্ঞানীরা সেখানে গবেষণা চালাচ্ছেন সেখানে। তিন দিন আগেই সেই পরীক্ষাগারের উদ্বোধন হয়েছে। ঝাড়খণ্ডের ঝাডুগোডায় ভূপৃষ্ঠের প্রায় দেষ কিলোমিটার গভীরে তৈরি এই গবেষণাগারটি আসলে ছিল একটি ইউরেনিয়াম খনি। যদিও এখনও এখান থেকে ইউরেনিয়াম উত্তোলন করা হয়। প্রায় ৪০০ টন ইউরেনিয়াম প্রতিদিন উত্তোলন করা হয়।

যদিও গবেষণাগারটি সেই খনির উপরের স্তরে রয়েছে। এটি তৈরি করতে ২০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। ইউরেনিয়াম উত্তোলনের খনি থাকায় গবেষণাগারটি তৈরি করতে খুব বেশি পরিশ্রম করতে হয়নি বলে জানিয়েছেন সাহা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী সত্যজিৎ সাহা।

গবেষণাগারের প্রবেশ পথ অত্যন্ত কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। ইউরেনিয়াম কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়ার এলাকায় সেই প্রবেশ পথ দিয়ে লিফটে করে নেমে যেতে হবে নীচে। প্রায় তিন মিনিট লিফটে নামার পর সেখান থেকে হেঁটেই পৌঁছে যাওয়া যাহে গভীরতম এই গবেষণাগারে।

পদার্থ বিজ্ঞানীদের দাবি, একটি আঠালো বস্তু গোটা বিশ্বকে একজোট করে রেখেছে। কিন্তু এখনও তার অস্তিত্বের প্রমাণ মেলেনি। যা মানুষ চোখে দেখে সেটা মাত্র ৪.‌৬ শতাংশ। বাকি ২৪ শতাংশই অন্ধকারে রয়েছে। পদার্থবিদ্যায় সেটাকেই নাকি বলে ডার্ক ম্যাটার। পৃথিবীর ৭১.‌৪ শতাংশই অন্ধকারে রয়েছে। বিজ্ঞানীদের দাবি এই গবেষণাগারে সেই ডার্ক ম্যাটার অনেকটাই প্রকাশ্যে আসবে।

ঝাডুগোডার এই গবেষণাগারটি ভারতে দ্বিতীয়। এর আগে কর্নাটকের কোলার সোনার খনিতে ১৯৯২ সালে এরকম একটি গবেষণাগার তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু বন্যার পরে সেটি বন্ধ হয়ে যায়। আর সেটির পুণরুজ্জীবন ঘটানো হয়নি।

Similar Articles

Advertismentspot_img

Most Popular