নিউজ ডেস্ক:
ভারতের সোনাগাছির নিষিদ্ধ পল্লীতে যৌনকর্মীদের ‘রেট’ এমনিতে ৪০০ কি ৫০০ রুপি। কিন্তু পূজার ক’দিন অন্য হিসেব।
এই কটা রাত তেমন ‘সস্তা’ নয় সোনাগাছিতে। আর তাই ৪০০ রুপির রাত বিকোচ্ছে ৭০০-৮০০তেও। হ্যাঁ, অন্য সবকিছুর মতো পূজার দিনে সোনাগাছির রাতের দামও চড়া।
শহর জুড়ে কোটি কোটি রুপির ব্যবসা হয় দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে। এর প্রভাব পড়ে সোনাগাছির নিষিদ্ধপল্লীতেও। বছরের অন্য রাতগুলোর থেকে পূজার রাতেই কিছু বেশি পয়সার মুখ দেখেন যৌনকর্মীরা। তাই অন্য ব্যবসায়ীদের মতো তাঁরাও সারাবছর অপেক্ষা করেন এই কয়েকটা দিনের জন্য। আসলে ওদের কাছে পূজা মানে সেজেগুজে ঠাকুর দেখতে যাওয়া নয়। ওদের পূজা মানে দু-পয়সা বেশি রোজগারের জন্য খদ্দেরের অপেক্ষা করা। চরম ব্যস্ততার মধ্যেই তাই দুর্গাপূজার কটা রাত কাটে তাঁদের। কেননা এই সময়টা শুধু ‘বাঁধা খদ্দের’রা আসেন না তা নয়। জুটে যায় ‘ফ্লাইং কাস্টমার’ও। শহরতলী থেকে কাতারে কাতারে মানুষ প্রতিমা দর্শন করতে আসেন কলকাতায়। তবে প্রতিমা দর্শন যে নেহাতই অছিলা তা হাড়েহাড়ে টের পান যৌনকর্মীরা। তল্লাট জুড়ে এ সময় বহু অচেনা মুখ। চোখেমুখে অস্বস্তি দেখলেই রানি, সোনালিরা টের পেয়ে যান, এরা একবারের ‘খদ্দের’।
ঠাকুর দেখার নাম করে যৌনকামনা চরিতার্থ করতেই ঢুকে পড়েছেন নিষিদ্ধপল্লির অন্ধকারে। অতএব ঝোপ বুঝে কোপ মারতে তাঁরাও দ্বিধা করেন না। চড়া ‘রেট’ হেঁকে বসেন। আর পূজার সময় এই ‘কাস্টমার’রা তা দিয়েও দেন। কোন বাকবিতণ্ডা ছাড়াই৷ ফলে যত খদ্দের বেশি ধরা যায়, ততো লাভের মুথ দেখেন এঁরা৷ আর তাই চড়া রেটে তুমুল ব্যস্ততায় পেরতে থাকে সোনাগাছির রাত৷
কিন্তু এইসব দিনে বাঁধা বাবুরা যান কোথায়? যৌনকর্মীরাই জানাচ্ছেন, শাড়ি, টাকা দেওয়ার ভয়ে পূজার কটাদিন গা ঢাকা দেয় তারা। পূজা মিটে গেলে আবার তাদের দেখা মেলে। এটাই এখানকার চিরাচরিত রীতি। তখন আবার পুরনো ‘রেট’৷ তবে হাতে গোণা কিছু ‘বাবু’ অবশ্য তাঁদের আবদার মেটায়।
সূত্র: কলকাতা টুয়েন্টিফোর।