নিউজ ডেস্ক:
কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলায় যুবককে হত্যা করে ট্রেনের নিচে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। নিহত ওমর ফারুক (২৬) সদর দক্ষিণ উপজেলার চেঙ্গাহাটা গ্রামের ডা. আবদুল হালিমের ছেলে। রবিবার নিহতের স্বজনরা এ অভিযোগ করেন।
নিহতের ভাই মাহমুদুল হাসান জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় পাশের বারাইপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিন নামের এক ছেলের সাথে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি থেকে বের হয় ফারুক। শনিবার সকালে কুমিল্লা রেলওয়ে পুলিশ ফোনে জানায়, ফারুক ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত হয়েছে। তার লাশ কমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। পুলিশ উপজেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার হরিশ্চর রেলক্রসিং থেকে ফারুকের লাশ উদ্ধার করে।
স্থানীয়রা ও পুলিশ জানিয়েছে, লাশ ৭/৮ টুকরো হয়ে গেছে, তা রেল লাইনের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিলো। তবে লাশের কাটা দেখে তা ট্রেনে কাটা মনে হয়নি। তার জুতা জোড়া এক সাথে পাওয়া গেছে।
তিনি আরও জানান, ফারুকের মৃত্যুর খবর সহপাঠী নিজাম উদ্দিন তাদের জানায়নি। তারা শনিবার নিজামের নিকট ফারুকের বিষয়ে জানতে চাইলে সে জানান তারা হরিশ্চর রেল ক্রসিংয়ের নিকট রাস্তায় মোটর সাইকেল নিয়ে দাঁড়ায়। এ সময় ফারুক তাকে দাঁড়াতে বলে রেল লাইন ধরে উত্তর দিকে চলে যায়। আধা ঘণ্টায়ও ফারুক ফিরে না আসায় ফোন করে তার মোবাইল ফোন ফোন বন্ধ পায়, পরে নিজাম মোটরসাইকেল নিয়ে চলে আসে।
মাহমুদুল হাসান তার ভাইকে হত্যা করে লাশ রেল লাইনে ফেলা হয় বলে অভিযোগ করেন। এজন্য ভাই হত্যার বিচারও দাবি করেন তিনি। ভাইকে হত্যার বিষয়ে এক দুই দিনের মধ্যে থানায় মামলা করবেন বলেও তিনি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে কুমিল্লা রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই নজরুল ইসলাম জানান, লাশ লাকসাম রেলওয়ে থানা পুলিশ উদ্ধার করে কুমিল্লায় মর্গে পাঠিয়েছে। ফারুককে হত্যা না ট্রেনে কাটা পড়েছে তা বলা যাচ্ছে না। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট হাতে পেলে বিস্তারিত জানানো হবে।