রোববার (১১ আগস্ট) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনমিক টাইমস এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
নিজের ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের মাধ্যমে পৌঁছে দেয়া একটি বার্তায় শেখ হাসিনা বলেছেন, আমি পদত্যাগ করেছি, যাতে আমার দেশে লাশের মিছিল দেখতে না হয়। শিক্ষার্থীদের লাশের উপর দিয়ে তারা ক্ষমতায় আসতে চেয়েছিল, কিন্তু আমি তা হতে দেইনি। তার আগেই প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছি।
হাসিনার দাবি, আমেরিকার কথামতো বঙ্গোপসাগরে একক আধিপত্যর জন্য সেন্ট মার্টিন দ্বীপ তাদের ছেড়ে না দেয়ার মাসুল এই ক্ষমতাচ্যুত করা। বাংলাদেশিদের সতর্কও করে দেশের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের ওপর যেন মৌলবাদীরা ভর না করে।
আবারও নিজের দেশে ফিরে আসবেন বলেও আশা প্রকাশ করেছেন শেখ হাসিনা। তিনি মনে করেন, আওয়ামী লীগ বারবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে, আবারও দাঁড়াবে। তার দলের বহু নেতাকে হত্যা ও ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়ার খবরে তিনি অত্যন্ত ব্যথিত বলেও উঠে এসেছে ওই প্রতিবেদনে।
উল্লেখ্য, জুনের মাঝামাঝি সময়ে সরকারি চাকরিতে থাকা কোটা নিয়ে আন্দোলন শুরু হয় বাংলাদেশে। কিন্তু শেখ হাসিনার সরকার এই আন্দোলন দমনে শিক্ষার্থীদের উপর নির্যাতন ও নিপীড়ন শুরু করে।
গত ১৭ জুলাই রংপুরে আবু সাঈদসহ ছয়জন শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ নিহত হন। এরপর এটি সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ নেয়। সাধারণ মানুষের ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে গত সোমবার (৫ আগস্ট) শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন।